ক্ষমতালিপ্সার কারণে আওয়ামী লীগের অমানবিক আচরণ : বুলু

19

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর থেকে ক্ষমতার লোভের কারণে জনগণের প্রতি অমানবিক আচরণ করে আসছে। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করে গোটা জাতিকে খন্ড বিখন্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তার তাদের জন্য অপরিহার্য। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশে বিদেশে বিলাসী জীবন যাপনকে নির্বিঘœ রাখতেই ক্ষমতার আড়ালে মহাদুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। গণতন্ত্রকে কঙ্কালে পরিণত করে চিরস্থায়ী ক্ষমতার বলয় তৈরির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। অবৈধ সরকারের দানবীয় তান্ডবে বিরোধী দল, ভিন্ন মত, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার সবকিছুকেই ডাকাতি করা হয়েছে। গতকাল রবিবার নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে নগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্র ঘোষিত বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ সভা হয়।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, সারাদেশে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে জীবন কেড়ে নিচ্ছে। মানবিক গুণাবলীহীন শেখ হাসিনার কারণেই দেশব্যাপী রক্তের স্রোত বইছে। ইতিমধ্যে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতালিপ্সা বাংলাদেশের চেয়েও প্রিয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, এই সমাবেশ আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে করবো। এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম মহানগরে। আমরা আশা করবো, মহানগর বিএনপি অতীতের মতো আগামী সমাবেশেও জনতার ঢল নামাবে। মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পলোগ্রাউন্ডের মতো জনসমাগম হবে ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মহানগর বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। মহানগর বিএনপিই আগামী ৪ ফেব্রæয়ারীর সমাবেশের মাঠ ভরিয়ে দিবে। সরকারের শত দমন-পীড়নকে আমরা ভয় পাই না। নেতাকর্মীদেরকে সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে নেতৃত্ব দিতে হবে। মহানগর যুবদলের সভাপতি দিপ্তীসহ অনেকেই জেলে আছেন। আমরা আইনগতভাবে মোকাবিলা করে তাদেরকে মুক্ত করে আনবো। আমাদের যে পদযাত্রা শুরু হয়েছে, তা হচ্ছে বিজয়ের পদযাত্রা। আর আওয়ামী লীগের জন্য মরণযাত্রা।
প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুন অর রশিদ ভিপি। বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এসএম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ, ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতি প্রমুখ।