ক্ষতিপূরণের টাকাও মেরে দিল পুলিশ!

15

চকরিয়া প্রতিনিধি

চকরিয়ায় এক দিনমুজুরের ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মো. মাহতাব উদ্দিন নামে এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে তিনি চকরিয়া মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা বিবিরখিল গ্রামের শফি উল্লাহর ছেলে ভুক্তভোগী দিনমজুর আবুল বশর বাদি হয়ে পুলিশের আইজিপি বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আবুল বশর ও তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করেন একই এলাকার আলমগীরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় ওইদিন আবুল বশর বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে থানার ওসি বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিনকে। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার কথা বলে বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ (বাদি পক্ষের চিকিৎসা খরচের জন্য) ১৩ হাজার টাকা জামানত গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু এ ঘটনার ৭ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো তিনি ক্ষতিপূরণের ওই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত দিনমুজুরকে পরিশোধ না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী দিনমজুর আবুল বশর আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগে আরও দাবী করেন, বিষয়টির ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিনের কাছে দফায় দফায় ধর্ণা দিলেও তিনি কোন ধরণের সহযোগিতা করেননি। বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে উল্টো আমাকে নানাভাবে পুলিশী হয়রনীর হুমকি দেন। থানায় দায়ের করা আমার লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে এন্টি করার জন্য সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) ও চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিনকে নির্দেশ দিলেও তিনি তাদের কথা রহস্যজনকভাবে এড়িয়ে যান বলেও দাবি করেন অভিযোগের বাদি ভুক্তভোগী দিনমজুর আবুল বশর।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো. তফিকুল আলম বলেন, টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী আবুল বশরের একটি লিখিত অভিযোগের কপি আমি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।