স্পোর্টস ডেস্ক
করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ ১ হাজার ক্রীড়াবিদকে ১ কোটি টাকা প্রদানের পর এবার দেশব্যাপী ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, রেফারি, জাজ, আম্পায়ার, ক্রীড়া সাংবাদিক এবং ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত মানুষকে প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা দিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। গতকাল দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে ঢাকা ও ঢাকার পাশ্ববর্তী কয়েকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের হাতে টাকার চেক তুলে দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। প্রতিটি জেলা থেকে ৪৫ জন এবং বিভাগ থেকে ১০ জন করে অসহায় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে বাছাই করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক গঠিত কমিটি। বাকি জেলা ও বিভাগের চেকগুলো ডাকযোগে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ক্রীড়া সাংবাদিকদের তিনটি সংগঠন-বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনকে (বিএসপিএ) ৪ লাখ, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনকে (বিএসজেএ) ৩ লাখ ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট কমিউনিটিকে (বিএসজেসি) আড়াই লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। সংগঠনগুলো নিজেদের উদ্যোগে তাদের সংস্থার কর্মহীন ও অসচ্ছ¡ল সাংবাদিকদের মধ্যে অর্থ বণ্টন করবে। এর আগে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মাধ্যমে ১ হাজার ক্রীড়াবিদকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
দেশব্যাপী বড় পরিসরে সহায়তার জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। সেখান থেকে দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে। বাকি অর্থ প্রদান করা হবে কয়েকটি ফেডারেশনের মাধ্যমে তাদের অসহায় খেলোয়াড়, সংগঠক ও কোচদের। জেলা ও বিভাগের অসহায় ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে ৭ হাজার টাকা করে।
চেক বিতরণকালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, ‘করোনা দুর্যোগে শুরু থেকেই আমরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করছি। এর আগে বিভিন্ন ফেডারেশনের মাধ্যমে ১ হাজার ক্রীড়াবিদকে ১ কোটি টাকা দিয়েছি। আমরা বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছি।’
এ সব অনুদানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করে মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘আজ আমরা ৮টি বিভাগীয় ও ৬৪টি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার চেক বিতরণ করছি। এ সকল উদ্যোগই সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও দিক নির্দেশনায়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সরকারের এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশ্বস্ত করছি।’
