ক্যাসিনোর টাকার ভাগ যারা পেয়েছে তাদের রেহাই নেই

21

ক্যাসিনোর টাকার ভাগ যারা পেয়েছেন তারা কেউ রেহাই পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার সকালে সিলেটের তোপখানা এলাকায় সিলেট সড়ক জোন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু চুনোপুটি নয়, এ সবের পেছনে রাঘব বোয়ালদের ধরতেও তদন্ত চলছে। প্রশাসন কিংবা রাজনৈতিক দলের যারাই ক্যাসিনোর টাকার ভাগ নিয়েছেন কারোরই রেহাই নেই’। সারা দেশের আওয়ামী লীগের সকল নেতাই নজরদারীর মধ্যে রয়েছেন বলেও কাদের জানান।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রে র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো মেলার পাশাপাশি সেগুলো পরিচালনায় যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। ওই দিনই গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে, পরদিন কলাবাগান ক্লাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে। দু’দিন পর গ্রেপ্তার করা হয় ঠিকাদার জি এম শামীমকে, যিনি যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন।
সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অসন্তোষ প্রকাশ পাওয়ার পরপরই জুয়ার আখড়া বন্ধে এই অভিযান শুরু হয়। ঢাকার ক্লাবগুলোতে অবৈধ ক্যাসিনোর সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সংগঠনটির চার নেতা গেছেন আত্মগোপনে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ এই নেতাদের খোঁজ মিলছে না কোথাও; কার্যালয়েও তারা যাচ্ছেন না, বাড়িতেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে যুবলীগের কর্মীরা জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের
ক্যাসিনো কান্ডে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা সম্রাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘শুধু সম্রাট নয়, অনেকের নামই উঠে আসছে, তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত করেই সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। এছাড়া দোষীরা যে দলের হোক না কেন- কেউ অপকর্ম করে পার পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।