ক্যাম্প বাজার থেকে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা উত্তোলন

44

বিশ্বের সর্ববৃহৎ রোহিঙ্গা শিবির কুতুপালং ডি-৪ এর রোহিঙ্গা মাঝি মোঃ ছলিম বিরুদ্ধে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে সড়কের দু’পাশের দোকান থেকে মাসিক চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জানা গেছে, ক্যাম্প প্রশাসন কিছু পূর্বে কুতুপালং ডি-৪ এর রাস্তার দু’পাশে অবস্থিত দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দেয়। পরে রোহিঙ্গা মাঝি ছলিম প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে সেলামীর নিয়ে নতুন করে শতাধিক দোকান বসিয়ে আবারো প্রতিনিয়ত ভাড়া আদায় করছে।
কুতুপালং ডি-৪ এর স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর অভিযোগ করে বলেন, রোহিঙ্গা আসার পর থেকে তারা দোকানগুলো চালু করেছিল। দোকান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তাদের সংসার চলত। কিন্তু সম্প্রতি প্রশাসন কোন প্রকার কথাবার্র্তা ছাড়া দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দেয়। পরবর্তীতে রোহিঙ্গা মাঝি ছলিমের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নতুন করে দোকানগুলো নির্মাণ করে হচ্ছে। বর্তমানে অনেক দোকান এভাবে চুক্তি ভিত্তিতে বসানো হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
এ নিয়ে ক্যাম্প প্রশাসনের লোকজনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় লোকজনের দাবী প্রশাসন এর সাথে জড়িত না থাকলে ছলিম মাঝি কিভাবে দোকান বসিয়ে চাঁদা উত্তোলন করতে পারে।