ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপি

147

চলছে শীতের মৌসুম। স্বাভাবিকভাবেই তাই সবজিতে ভরপুর বাজার। দামও অন্য যেকোনো মৌসুমের তুলনায় অনেক কম। এসব সবজিতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। বাজারে উঠা এসব সবজির মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আরও আছে অ্যান্টি-ক্যান্সার বা ক্যান্সার নিরোধক উপাদান। মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে বলে যুক্তরাষ্ট্রের রসওয়েল পার্ক ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা সপ্তাহে অন্তত তিনবার ফুলকপি খাওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া, সপ্তাহে প্রায় ২ পাউন্ড ফুলকপি খেলে মলাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পুষ্টিগুণে ভরপুর ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’ ছাড়াও আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফার পাওয়া যায়। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতায়ও রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ফিগার সচেতনরা ফুলকপি খেতে পারেন। কারণ এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম।
গরুর দুধের চেয়েও প্রায় পাঁচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে ফুলকপিতে। ২০০ গুণ বেশি আয়রন। ফুলকপি বেশি সিদ্ধ বা রান্না করলে এর সালফার যৌগ নষ্ট হয়ে যায় এবং এসব গুণাগুণ অনেকটাই বিনষ্ট হয়। তাই সম্পূর্ণ গুণাগুণ পেতে ফুলকপিকে সামান্য ভাপ দিয়ে বা স্টিম করে খেতে হবে।
ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন এ ও সি শীতকালীন বিভিন্ন রোগ যেমন জ্বর, কাশি, সর্দি ও টনসিল প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফুলকপির ভিটামিন এ চোখের জন্যও প্রয়োজনীয়। উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস রোগীরা ফুলকপি খেতে পারেন নিঃসঙ্কোচে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও কোলেস্টেরল কমাতেও ফুলকপি ভালো কাজ করে। ফুলকপিতে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
তবে যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের ফুলকপি বেশি না খাওয়াই ভালো। ফুলকপিতে থাকা প্রচুর উদ্ভিজ্জ আমিষ দুর্বল কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। আবার যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাদেরও ফুলকপি খেতে একটু সাবধান হতে হবে। কারণ ফুলকপি খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হয়। এ ছাড়া থাইরয়েড গ্ল্যান্ডসংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্তদের ফুলকপি এড়িয়ে চলাই ভালো।

সকালে খালি পেটে পানি
পানের উপকারিতা

 

সকালে উঠে খালি পেটে পানি পান করা উচিত। মূল কারণ হিসেবে বলা হয় যে এতে পেট পরিষ্কার হয়। কিন্তু তা ছাড়াও আরো বহু উপকারিতা রয়েছে—
১) খালি পেটে পানি খেলে বাওয়েল মুভমেন্ট ভালো হয় এবং সহজে পেট পরিষ্কার হয়।
২) সারা রাত ধরে যে রেচন পদার্থগুলো বা টক্সিনগুলো কিডনিতে জমা হয়, সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেই টক্সিনগুলো মলমূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
৩) সকালে খালি পেটে পানি খিদে বাড়ায়।
৪) ঘুম থেকে উঠে অনেকের মাথাব্যথা করে। শরীরে পানির মাত্রা কমে যাওয়া মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। সারা রাত শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি যায় না। তাই সকালে উঠে যদি খালি পেটে অনেকটা পরিমাণ পানি খাওয়া যায় তবে মাথার যন্ত্রণা দূর হয়।
৫) খালি পেটে পানি খাওয়ার ফলে যেহেতু বাওয়েল মুভমেন্ট ভালো হয় তাই কোলনও পরিষ্কার হয়।
৬) সকালে খালি পেটে পানি খেলে হজমশক্তিও বাড়ে।
৭) যারা ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমাতে চান, তারা অবশ্যই এই অভ্যাসটি বজায় রাখবেন কারণ যত বেশি পানি খাবেন তত হজম ভালো হবে এবং শরীরে বাড়তি ফ্যাট জমবে না।
৮) ঘুমের ক্লান্তি কাটিয়ে শরীরে নতুন এনার্জির সঞ্চার হয়।
৯) শরীর থেকে যত টক্সিন দূর হবে ততই ত্বক উজ্জ্বল হবে। সবচেয়ে বেশি টক্সিন জমে রাতে, ঘুমোনোর সময়ে। তাই নিয়মিত সকালে খালি পেটে পানি খেয়ে শরীর থেকে টক্সিন দূর করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
১০) খালি পেটে পানি খেলে তা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।