কোয়াড নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের কথা ‘আগ বাড়ানো’

47

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন চার জাতির জোট কোয়াডে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে ‘আগ বাড়ানো’ কথা হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, যে কোনো দেশ নিজেদের অবস্থান জানাতে পারে; তবে বাংলাদেশ ‘নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ’ পররাষ্ট্রনীতির আলোকেই সিদ্ধান্ত নেবে। কোয়াড নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের ‘হুঁশিয়ারি’ আসার পরদিন মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই উত্তর আসে।
তিনি বলেন, উনারা বলতে পারেন। উনি একটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা হয়ত এটা চায় না, তাই তারা বক্তব্য দেবেন। (কিন্তু) যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদেরকে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এটা আগ বেড়ে বলা হয়েছে।
আমরা এটাকে খুব একটা উনি বলেছেন, দ্যাটস ফাইন, এটা নিয়ে আমাদের বিশেষ কিছু বক্তব্য নাই। বাট উই উইল ডিসাইড হোয়াট উই উইল ডু। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশকে কোয়াডে যোগ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘চীনবিরোধী’ ওই জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘ক্ষতি’ করবে। কোয়াড্রিলেটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ- কোয়াড নামে পরিচিত ওই জোটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা জানি, কোয়াড বানানো হয়েছে চীনের কথা মাথায় রেখে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানের পক্ষ থেকেও অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, চীনের কারণেই তারা এই জোটে অংশ নিচ্ছে। আর সে কারণেই বাংলাদেশ এরকম কোনো জোটে চীন ‘দেখতে চান না’ বলে সতর্ক করেন লি জিমিং।
মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নেপালের কাছে ওষুধ ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) হস্তান্তরের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বলেন, আমরা একটা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা নির্ধারণ করি। তবে হ্যাঁ, যে কোনো দেশ তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। আমরা সেগুলো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
তো, আমরা কী করব না করব, আমাদের দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্য, আমাদের যে পজিশন আছে, তার ভিত্তিতে উই উইল ডিসাইড ইট।
মোমেন বলেন, দেশের মঙ্গলের জন্য আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন, বহু সময় বহু লোক বহু কিছু বলেছেন, কিন্তু আমাদের দেশের স্বার্থের ব্যাপারে, দেশের মঙ্গলের জন্য যা যা দরকার তাই করি। আমরা নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলি এবং সেটাই বজায় রাখব।