কোভিড টিকা নিয়ে জি-৭ এর সমালোচনায় জাতিসংঘ

8

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় গরিব দেশগুলোকে ১শ’ কোটি ডোজ কোভিড টিকা দেওয়ার জি-৭ এর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মার্ক লোকক। আগামী বছর নাগাদ এই একশ’ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে ‘ক্ষুদ্র পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। জি-৭-এর এই পদক্ষেপ নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে লোকক বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় ধনী দেশগুলো গরিব দেশগুলোর জন্য বিক্ষিপ্ত, ছোট আকারে যে দাতব্য পদক্ষেপ নিয়েছে তা গুরুত্ববহ নয়, এর মধ্য দিয়ে মহামারীর অবসান হবে না।” যুক্তরাজ্যে ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালের কারবিস বেতে অনুষ্ঠিত হয় জি-৭ সম্মেলন। গত ১১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে অংশ নেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতারা।
এ সম্মেলন থেকেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, গরিব দেশগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এর আগেও জনসন সম্মেলন থেকে টিকার এই প্রতিশ্রুতি আসার কথা জানিয়েছিলেন। তখন থেকেই টিকার অপর্যাপ্ততা নিয়ে সমালোচনা হয়ে আসছিল। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা ও প্রচার সংগঠনের কর্মকর্তারা এই প্রতিশ্রুতিকে মহাসাগরে একফোঁটা পানি বলে অভিহিত করেছিলেন। বলা হচ্ছিল, ধনী দেশগুলো যে পরিমাণ টিকা দিচ্ছে, তাতে ভারতেরই পুরো জনসংখ্যাকে টিকার আওতায় আনা যাবে না, আর বাদবাকি বিশ্ব তো দূরের কথা।” তবে বরিস জনসন এমন অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, “বিশ্বকে টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে জি-৭ এর সিদ্ধান্ত একটি বড় পদক্ষেপ।” কিন্তু জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মার্ক লোকক বলছেন, “জি-৭ কে আরও বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের এখনও অনেককিছু করার আছে।” তিনি বলেন, “বিশ্বের জনগণকে কীভাবে টিকা দেওয়া হবে, তার পরিকল্পনা পাওয়ার কথা ছিল জি-৭ এর কাছ থেকে। অথচ আমরা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মাত্র ১০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা পেলাম, তাও আবার এখন থেকে একবছর কিংবা আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে।”