কোন ধর্মেই সন্ত্রাস খুনাখুনি করতে বলে না

34

খাদ্য মন্ত্রণালয়রে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাঙামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, আমাদের জীবন সংসারে চাহিদা অনেক। তাই বলে অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস, খুনাখুনি চাঁদাবাজি করে যা কখনও মানুষের উপকারে আসে না। কোন ধর্মেই অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস, খুনাখুনি এসব করতে বলে না। তাই এসব না করে বৌদ্ধ ধর্মের আদর্শ মেনে প্রয়োজন। আমাদের বৌদ্ধ ধর্মে বলেছে মৈত্রী ভাবনা করতে। তাই মৈত্রী ভাবনা করে আমাদের পথ চলতে হবে। ধর্ম দিয়ে প্রতিযোগীতার কাজ নয়। তারপরও আমি আগের তুলনায় অনেক বেশি ধর্মের চর্চা করে থাকি। শেখ হাসিনা আমার ব্যাপারে বিষণ আন্তরিক। তিনি চান প্রত্যেক ধর্মের লোকেরা যাতে নির্ভিঘ্নে তাদের আন্তরিকভাবে ধর্ম পালন করতে পারে। গত ২৪ নভেম্বর রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ডানে আটারকছড়া আর্য গিরি বন বিহারে ২দিন ব্যাপী ৩য় তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেছেন। গত সোমবার পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্যদিয়ে চীবর দান অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাত ১ টায় বেইন বুনা শুরু হয়। সংঘদান, বুদ্ধমুর্তি দান, কল্পতরু দান, অষ্ট পরিস্কার দান এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডুদানসহ নানাবিধ দান করা হয়। গত মঙ্গলবার ১ম পর্বের অনুষ্ঠানে নানিয়ারচর তক্ষশীল বন বিহারের অধ্যক্ষ করুনা বর্ধন মহাস্থবীরের সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন। নাথোরাম চাকমা, দ্রূব চাকমা ও সুপ্তা চাকমার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার। ধর্মীয় দেশনা দেন নানিয়ারচর বেনুবন অরণ্য কুঠির বনবিহারের অধ্যক্ষ পন্থক ভান্তে মহাস্থবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুল আবেদীন, লংগদু উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ক্যাথোয়াই প্রূ মারমা, লংগদু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ঝান্টু চৌধুরী, লংগদু থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ নুর, রাঙামাটি সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপক চাকমা, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু, আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা। এছড়া বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যাক্তিগন এসময় উপস্থিত ছিলেন। ধর্মীয় দেশনায় বক্তারা বলেন, পূণ্য লাভে বনভান্তের শাসন অনুশাসন ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে চলতে চলতে হবে। এসময় বনবিহারে পূণ্য লাভের আশায় আগত বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা সাধু সাধু ধনি দেন। শেষে বর্তমান দেশ ও জাতী করোনা প্রভাব থেকে যেন মুক্ত হতে পারে সেই প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় ডানে আটারকছড়া আর্য গিরি বনবিহারে হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস বাতি উড়ানো হয়।