কোনটাকে রাখি, কোনটাকে ছাড়ি…

13

সুলতানা কাজী

ইদানীং ইগো এবং সেল্ফ রেসপেক্ট নিয়ে মাথায় ঘুরছে খালি! সমাজে এ দুটো শব্দের প্রয়োগ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে চলেছে। ইগো হলো, মর্যাদা আদায় করার চেষ্টা। সেল্ফ রেসপেক্ট, নিচু হতে শেখা। ইগো নিজেকে নিয়েই ভারী মত্ত। মানুষ কি বললো না বললো সেদিকে তার নজরই নাই। সেল্ফ রেসপেক্ট নিজেকে নিয়ে চিন্তা করার পাশাপাশি অন্যদেরও মূল্যায়ন করে।
কথা হলো, আমি কোনটাকে ভালোবাসবো! সেল্ফ রেসপেক্ট বলে, নিজের উপর বিশ্বাস রাখো। ইগো বলে, নিজেকে অন্যের চেয়ে ভালো মনে করো। ইগো মনে করে, আমি পৃথিবীর জন্য একটা বড় সারপ্রাইজ। আমিই সফল। কাজেই আমাকে দিয়েই হোক সকল কাজ। অন্যদিকে সেল্ফ রেসপেক্ট মনে করে, নিজের লিমিট কতটুকু তা নিয়ে ভাবা উচিত। নিজের ভিতর দক্ষতাগুলো কোনোদিন যেনো জাহির করা না হয়।
সেল্ফ রেসপেক্ট যে পথে হাঁটে…
সত্যই সুন্দর। ইগো হাঁটে… নিজে নিজে প্রকাশিত হও। এজন্যই ইগো হলো, কষ্টদায়ক অহংবোধ! সেল্ফ রেসপেক্ট হলো, সমাজে নিজের সঠিক মর্যাদা অনুধাবন করতে পারা।
ইগো তৈরি হয়, স্ফীত আত্মসম্মান থেকে। সেল্ফ রেসপেক্ট তৈরি হয়, সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্য প্রভেদ করার মধ্য দিয়ে। এভাবে সেল্ফ রেসপেক্ট যখন তার সীমারেখা অতিক্রম করে এবং অপরকে আঘাত করতে শুরু করে, তখন সেটাই পরিণত হয় ইগোতে।
সুতরাং আমরা কোনটাকে রাখবো, কোনটাকে জীবন থেকে বাদ দিবো এটা সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব ব্যাপার।