কোদালা উচ্চ বিদ্যালয়

229

কোদালা হাই স্কুলের আঙিনায় যখন ঢুকছি একেবারে সুনশান নিরবতা। বিশাল সীমানা প্রাচীর। মুল ফটক দিয়ে ঢুকেই এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর পরিপাটি স্কুল তেমন একটা চোখে পড়েনা। গ্রামেতো নয়ই এবং এমনকি শহরেও পর্যন্ত দেখা পাওয়া দুস্কর। স্কুল ভবনের সামনে বিভিন্ন ফল ও ফুল গাছের সমারোহ। এ যেন অভূতপূর্ব এক বাগান বাড়ি। মেহগুনি, কামরাঙা, আম, জলপাই, লিচু, আমড়া, আমলকি, নারিকেল গাছ ও রয়েছে নানান প্রজাতির ফুল গাছের নান্দানিক রোমাঞ্চকর দৃশ্য। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য বৃক্ষ গুনের শেষ নেই, সেই সাথে সৌন্দর্য্য বর্ধনেও। সবুজ প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী মনের উৎফুল্ল মিশিয়ে শিক্ষাদান করছে আর শিক্ষার্থিরা সেই শিক্ষাজ্ঞান আহরণ করে হৃদয়ে পতিত করছে এক অবারিত জ্ঞানের উৎস। ১৯৬৫ খৃষ্টাব্দে রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে ৭৫ শতক জমির উপর এক নয়নভিরাম এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় স্কুলটি। এক সময়ের বেড়ার কাঁচামাল দিয়ে নির্মিত স্কুল, বর্তমানে পাকা দালানে রূপান্তরিত হয়েছে। আলাদা তিনটি পাকা ভবনে পাঠদান চলছে। আরেকটি ভবনের এখন নির্মাণের কাজ চলছে। যেটিকে প্রশাসনিক দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হবে। স্কুলের বিশাল মাঠের চারিদিকে রয়েছে স্কুল ভবন। উত্তর পাশে পুরনো ভবন, পূর্ব পাশে নবনির্মিত বিজ্ঞান ভবন এর পাশ ঘেষে রয়েছে স্মৃতি স্বরূপ বেড়ার পুরনো স্কুল, দক্ষিন পাশের্^ তিন তলা বিশিষ্ট ভবন এবং পশ্চিম পাশের্^ নতুন ভাবে নির্মিত হচ্ছে প্রশাসনিক ভবন। হাই স্কুলের পাশ ঘেষে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুয়েতের অর্থ সাহার্য্যে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টি নন্দন একটি মসজিদ। স্কুলের পুরো এলাকাটি নানান প্রজাতির গাছে ভরপুর। সবুজায়নের কারণে স্কুলটির ভিতর এবং বাহিরের পরিবেশ যে কারো মনকে রাঙিয়ে দেবে এত কোন রকম সন্দেহ নেই। স্কুলে রয়েছে প্রায় আট শতাধিক শিক্ষার্থি। প্রত্যেকের গায়ে রয়েছে স্কুলের নিদ্দিষ্ট পোষাক।
রাংগুনিয়া উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ প্রান্তে কোদালা ইউনিয়নের অবস্থান। ১৯৮৯ সালে ৯নং শিলক ইউনিয়নকে ভাগ করে ১২ নং কোদালা ইউনিয়ন গঠিত হয়। ১৩.৪৬ বর্গমাইলের কোদালা ইউনিয়নে বর্তমান জনসংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ৩২ হাজার। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তখন এই ইউনিয়নে সর্বমোট জনসংখ্যা ছিল ৩০,২৮৮ জন। তবে সবচাইতে হতাশার বিষয় যে, জনসংখ্যার তুলনায় সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পতা চোখে পড়ার মতো। তাই বিশাল একটি জনগোষ্ঠী শিক্ষা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। পুরো ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে মাত্র একটি উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থি সংখ্যা আট’শ জন ছাড়িয়েছে। এর বাইরেও আর বহু শিশু রয়েছে যারা শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্ততঃ আরো কয়েকটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। এলাকার রাজনীতি সচেতন, শিক্ষানুরাগীরদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বর্তমানে স্কুলটি উপজেলার মধ্যে একটি আদর্শ স্কুল হিসেবে ইতিমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে।
২০১৭ সালের শিক্ষা সপ্তাহ চলাকালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করে। ২০১৮ সালে উপজেলা প্রশাসন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব কাউসার নুর লিটনকে শ্রেষ্ঠ সভাপতির স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কৃত করে। এলাকার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী কৃষির উপর নির্ভরশীল। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অনেকের পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে খুব একটা স্বচ্ছল নয়। তাই তারা বেঁচে থাকার তাগিদে ছোটকাল থেকেই কৃষিকাজে জড়িয়ে পড়ে। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থি প্রয়োজনীয় বই, খাতা ও পোশাক ক্রয় করতে পারেনা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অসচ্ছল শিক্ষাথীদের বিভিন্ন্ সহায়তা দিয়ে আসছে। জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরিক্ষার্থীরা প্রতি বছর ভালো ফলাফল করে মফস্বলের এই বিদ্যালয়টি সকলের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে। যা অত্যন্ত গৌরবের। বর্তমান এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশের অগ্রগতিতে স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একটানা তিন বছর উপজেলা পর্যায়ে এস.এস.সি’তে শতভাগ পাশের স্বীকৃতি অর্জন করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এস.এস.সি’তে প্রায় ৯৩ ভাগ শিক্ষার্থি পাশ করে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সহযোগিরা
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার বয়স এখন ৫৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। এলাকার জনগণকে শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে নেয়ার জন্য যে মানুষগুলো স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা প্রত্যেকে ছিলেন এলাকার সুনামধন্য ব্যক্তিবর্গ এবং স্ব স্ব পেশাগত ক্ষেত্রে উজ্জ্বলতর মহান মানুষ। অনুন্নত এই জনপদকে শিক্ষায় উন্নত করার পেছনে বিদ্যুৎসাহী গুটি কয়েক মানুষ এগিয়ে এসেছিলেন। তাদের দেখানো আলোয় আজ আলোকিত এতদঅঞ্চল। ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় যে তিন জন দানশীল বিশিষ্ট ব্যক্তি এগিয়ে এসেছিলেন তাঁরা হলেন যথাক্রমে- ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক আহমদর রহমান চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ তালুকদার এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল হক। জনাব নুরুল হক একসময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
এসময় বিদ্যালয়কে সংসম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আরো যাঁরা ভূমিকা রেখেছিলেন তারা হলেন- হাজী অব্দুল গনি তালুকদার, কবির আহম্মদ সওদাগর, ছৈয়দ হোসেন তালুকদার, যোগেশ চন্দ্র দেব, ছৈয়দ আহম্মদ তালুকদার, অশি^নী কুমার ধর,সুরেন্দ্র লাল দাশ, রণজিত কুমার ঘোষ,হাজী মৌঃ অব্দুল ছালাম, সুরেশ চন্দ্র দেব, মো. হাছান মাষ্টার, আব্দুল ছালাম তালুকদার, ছিদ্দিক আহম্মদ মাষ্টার, হাজী মৌলভী ছিদ্দিক আহম্মদ ও মীর আহম্মদ মেম্বার প্রমুখ।

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হলেন যাঁরা
এপর্যন্ত বিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্প্রসারণ নির্মানে এগিয়ে এসে স্থায়ী দাতা সদস্য হিসেবে গৌরবের আসনে আসীন হয়েছেন তাদের মধ্যে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী যোগেন্দ্র লাল ঘোষ, নগেন্দ্র লাল ঘোষ, হাজী বজল আহম্মদ সওদাগর, হাজী সুলতান আহম্মদ সওদাগর, আবুল কালাম তালুকদার, হাজী রহম আলী সওদাগর, মোহাম¥দ হারুন, মোহাম্মদ ইউনুচ, এম.শাহ আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুছ, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি জনাব কাউসার নুর লিটন প্রমুখ বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তিবর্গ প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি
বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন এলাকার অত্যন্ত সুনামধন্য ব্যক্তিত্ব কোদালা উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও কোদালা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব নুরুল হক সাহেবের সুযোগ্যপুত্র জনাব কাউসার নুর লিটন। তার সাথে আছেন এলাকার শিক্ষা ও রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিবর্গ। পরিচালনা কমিটির অন্যরা হচ্ছেন- সম্পাদক হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবীর বড়–য়া, শিক্ষানুরাগী সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, দাতা সদস্য মোহাম্মদ ইউনুচ, সাধারণ অভিভাবক প্রতিনিধি মো. মফিজুর রহমান, মো. জহির আহম্মদ, শামশুল আলম, জসীম উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক জান্নাতুল ফেরদৌস, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ বদিউল আলম ও জারিয়াতুচ ছিদ্দিকা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যাঁরা ছিলেন
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যাঁরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন- মোহাম্মদ ছৈয়দ নূর, মো. আবুল কালাম চৌধুরী, বাবু নির্মল বিহারী দাশ, জগদীশ চন্দ্র চক্রবর্ত্তী, মো. রেজাউল করিম, মো. জালাল আহম্মদ ভূঁইয়া, বাবু মিলন প্রভাশ বড়–য়া, বাবু গোপাল চন্দ্র দাশ, বাবু মিলন দাশগুপ্ত, বাবু নির্মল কান্তি সেনগুপ্ত (ভারপ্রাপ্ত), বাবু ললিত মোহন আচার্য, বাবু দেবল কান্তি বড়–য়া (ভারপ্রাপ্ত), মোহাম্মদ হানিফ (অব্যাহতি), বাবু মিলন কান্তি মালাকার ( ভারপ্রাপ্ত), বাবু রন্জন বড়–য়া (ভারপ্রাপ্ত) এবং বর্তমানে বাবু সুবীর বড়–য়া।

শিক্ষক শিক্ষিকা ও অন্যান্যরা
বর্তমানে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা মÐলী এ বিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করছেন তাঁরা হলেন- প্রধান শিক্ষক সুবীর বড়–য়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক রঞ্জন বড়–য়া, সিনিয়র শিক্ষক দেবল কান্তি বড়–য়া, সিনিয়র শিক্ষক প্রদীপ কুমার মল্লিক, সিনিয়র শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, সিনিয়র শিক্ষক বদিউল আলম, সিনিয়র শিক্ষক আ.ন.ম. ফখরুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক চন্দন কান্তি চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক তাসলিমা খানম, টিটু চক্রবর্তী, জারিয়াতুচ ছিদ্দিকা, আশীষ কুমার দেব, হামেদ শাহ মোহাম্মদ রাকিব, মো. কুতুবুল আহসান। গ্রন্থাগারিক মো. আবদুল্লা, অফিস সহকারী সমীর কুমার দত্ত, দপ্তরী কাঞ্চন বড়–য়া, নৈশ প্রহরী মো. সাইফুদ্দীন মানিক ও আয়া রূপসী ঘোষ।

সভাপতি কাউসার নুর লিটন
তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধি কাউসার নুর লিটনের নেতৃত্বে বর্তমান কমিটি শিক্ষা ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন আনতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। দানশীল পিতার উত্তরসুরী হিসেবে লিটন ছাত্র-শিক্ষক সকলের কাছে একজন আস্থাভাজন মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১৮ সালে এই কমিটি উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি পুরস্কার লাভ ও স্বীকৃতি অর্জন করেন। তিনি এই প্রতিদেককে বলেন, আমি মানম্মত শিক্ষা দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই এলাকার একটি সন্তানও যাতে শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষকে সামনে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। লিটন বলেন, অর্থনেতিক অসচ্ছলতার কারনে অনেক মা-বাবা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো থেকে বিরত থাকে। আবার অনেকে স্কুলের মাসিক বেতন দিতে পারেনা, স্কুলের ড্রেস কিনতে পারেনা সে সব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কমিটির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সবকিছু প্রদান করে থাকি। এই এলাকাটি যেহেতু অনুন্নত তাই, যে সব স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গ আছে তারাও যদি এগিয়ে আসে তাহলে ঝড়ে পড়া প্রবণতা থেকে শিক্ষার্থীদের রোধ করতে পারবো বলে আমি বিশ^াস করি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে আর বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ বিশেষ এই দুইটি বিষয় যদি আমাদের পূরণ করে দেয়, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রে এ এলাকায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারবো। সেই সাথে তিনি এলাকার সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

প্রধান শিক্ষক সুবীর বড়–য়া
প্রধান শিক্ষক সুবীর বড়–য়া বলেন, এই বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে যোগদান করে বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষক বৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতায় সবুজায়ন করার লক্ষ্যে স্কুল ভবনের সামনে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন, ফুল, ফলের গাছ বিভিন্ন বনাজী ও ওষুধি গাছ রোপন করি। এছাড়া স্কুলের বাউনডারি ওয়াল নির্মান করি। এভাবে আগামীতেও বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাব। শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের মিশন এবং ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষে প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, মফস্বলের নান্দনিক এই বিদ্যালয়কে একটি আদর্শ মডেল স্কুলে রূপান্তরিত করা আমার এখন একমাত্র স্বপ্ন।