কোচিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে পেটালো স্কুল কমিটির সদস্য

10

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফটিকছড়িতে মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে স্কুল পরিচালনা কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঞ্চননগর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এমন অমানবিক ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির শাস্তি দাবি করেন অভিভাবকরা।
নির্যাতনের শিকার সাইফুল ইসলামের পিতা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, তার ছেলে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার আগে স্কুলে তাদের মডেল টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। পাশাপাশি তাদের বাধ্যতামূলক কোচিংও করতে হয়। পরীক্ষা এবং কোচিং একসাথে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করে যে কোন একটি চালু রাখার দাবি জানায়। এতে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বিষয়টি স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য শরফ উদ্দিনকে জানান। শরফ উদ্দিন স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের স্কুল অফিসে ডেকে নিয়ে ধমকাতে থাকেন। এসময় সাইফুল এর প্রতিবাদ করলে তাকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।
তিনি আরো বলেন, ছেলে দোষ করলে স্কুলের শিক্ষক তাকে শাসন করবেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট অভিভাবককে ডেকে বিষয়টি অবহিত করবেন। কিন্তু তা না করে এভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় একজন শিক্ষার্থীকে পিটানো অমানবিক। অবশ্য অভিযুক্ত পরিচালনা কমিটির সদস্য শরফ উদ্দিন স্থানীয় লোকজন নিয়ে সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান সাইফুলের পিতা দেলোয়ার।
এ ব্যাপারে শরফ উদ্দিন বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। তিনি এজন্য অনুতপ্ত।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য শফিউল আজম বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় স্কুলটিতে নানা অনিয়ম চলছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগও করেন তিনি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি এর বাইরে ৩২০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এছাড়া উন্নয়ন ফি’র নামেও আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে চলছে কোচিং বাণিজ্য।