কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: একে একে চলে গেলেন পরিবারের সবাই

37

পূর্বদেশ অনলাইন
কেরানীগঞ্জে গ্যাসের চুলার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন একে একে দগ্ধ একই পরিবারের ৬ জনই মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সর্বশেষ দগ্ধ মো. ইয়াছিন (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিন সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন।তিনি জানান, ইয়াছিনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনই মারা গেল। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ জিনজিরা মান্দাইল মন্দিরের সামনের বাসায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুরে ৬০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যায় মরিয়ম (৪)। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে শাহাদত (২০) ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মারা যান বেগম (৬০)। সোমবার ভোরে মারা যান ইদুনী ওরফে পান্না বেগম (৫০), সোমবার রাতে মারা যায় সোনিয়া আক্তার (২৪)। আজ মারা গেল ইয়াসিন। ঘটনার দিন তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া নিহত শাহাদতের বন্ধু নাজমুল হাসান সাকিব জানান, দগ্ধরা দ্বিতীয় তলা বাসার নিচ তলায় থাকেন। ভোরে আগুন-আগুন বলে চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ওই বাসায় ছুটে যান। সেখানে ওই ছয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় পান। পরে তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সাকিব জানান, দগ্ধদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন- ভোরে বেগম রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাইতেই ঘরে আগুন লেগে যায়। ওই আগুনে তারা দগ্ধ হয়।