কেমন হবে লকডাউনের পর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা?

30

রৌদ্রস্নানার্থীদের আলাদা করে রাখা হয়েছে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের পার্টিশন দিয়ে। বিমানে ওঠার আগে আপনার রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে, গায়ে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে আপনাকে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। এগুলো শুনতে অস্বাভাবিক লাগতে পারে। কিন্তু অবস্থাটা এখন এমন যে- করোনাভাইরাসজনিত লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে, যদিও কোভিড-১৯ ঠেকানোর কোনো টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি। ফলে এ অবস্থায় ভ্রমণকারীরা যেন নিরাপদে এবং স্বস্তিতে ছুটি কাটাতে যেতে পারেন- সেজন্য ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা এখন থেকেই এরকম পদক্ষেপের কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন।
অবশ্য এটা বলে রাখা দরকার যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ আবার কবে শুরু হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। কিন্তু যখনই শুরু হোক, কেমন হবে সেই লকডাউন-পরবর্তী যুগের ভ্রমণ? এখানে তুলে ধরা হচ্ছে তারই একটা সম্ভাব্য চিত্র।
লন্ডনসহ বিভিন্ন এয়ারপোর্টে ইতোমধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নানা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে যাত্রীদের মধ্যে সবসময় এক বা দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখা (যারা একসঙ্গে থাকেন তারা ছাড়া), পুরো এয়ারপোর্ট জুড়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা এবং টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদেরকে সমানভাবে ছড়িয়ে রাখা- যাতে এক জায়গায় বেশি লোকের ভিড় না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিরাপত্তা প্রশাসন (টিএসএ) বলছে, সিকিউরিটি স্ক্রিনিং-এর আগে ও পরে যাত্রীদের ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া উচিৎ। তবে হংকং বিমানবন্দরে এখন যাত্রীদের পুরো শরীর জীবাণুমুক্ত করার একটি যন্ত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এ যন্ত্রটি থেকে একটি স্প্রে যাত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দেয়া হবে- যা যাত্রীর ত্বক ও পোশাকে কোনো ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থাকলে মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে তা মেরে ফেলবে।
হংকংএর এই এয়ারপোর্টে এ ছাড়াও রোবট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘুরে ঘুরে পরিষ্কার করার কাজ করতে থাকবে। কোনো মাইক্রোবের উপস্থিতি টের পেলে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দিয়ে আঘাত হেনে তাদের ধ্বংস করবে। এরকম কিছু রোবট অস্থায়ী হাসপাতালে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।