কৃষি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১৩০০, আর ধান বিক্রি ১২০০ টাকায়

23

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধানকাটা শ্রমিক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক পরিবারগুলো। ধানকাটা শ্রমিকের মজুরি নিয়ে কৃষক পরিবারে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। শ্রমিকরা অস্বাভাবিক হারে মজুরি নিচ্ছেন। ধান চাষ করে যে পরিমাণ লাভ হওয়ার কথা, তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক পরিবারগুলো।
একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি কমানো না গেলে সামনের আমন চাষ করা সম্ভব হবে না।
জানা গেছে, বোরো ধান ঘরে তুলতে চলছে ধান কাটার আয়োজন। ধানকাটা মৌসুমে প্রতিদিনই শ্রম বিক্রির জন্য বেশি ভিড় করে শ্রমজীবী মানুষ। এ বছর করোনায় লকডাউন না থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসেছেন। কিন্তু শ্রমিক সংকট না থাকার পরও চড়া মজুরিতে পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় শ্রমিক। ঠিক সময়ে শ্রমিক না পেলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজারহাট, গোচরা, শান্তিরহাট, রানিরহাট, পদুয়া ও রাজারহাটে সরেজমিন দেখা যায়, পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রমিক রয়েছেন। তবে তারা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মজুরি দাবি করছেন।
চন্দ্রঘোনার কৃষক মো. রমিজ আহম্মদ বলেন, একজন ধান কাটা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা টাকা। এর পাশাপাশি তিনবেলা খাবার ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে একজন শ্রমিকের পেছনে দৈনিক ১৩শ টাকা টাকার উপর খরচ হয়। এর বিপরীতে প্রতি ৬ আরি (৯৬ কেজি) ধানের দাম সর্বোচ্চ ১২শ’ টাকা। এতে কৃষকের লাভ হবে কত? প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বাঁশখালী থেকে আসা ধান কাটার শ্রমিক মো. ফারুক জানান, একজন মানুষের ৫০০ টাকা দিয়ে কীভাবে চলবে? বাড়তি গাড়ি ভাড়া, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামবৃদ্ধিতে আমরা বেশি বিপাকে পড়েছি। যে পরিমাণ মজুরি পাই, তাতে আমাদের কোনভাবেই চলে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, এবার রাঙ্গুনিয়ায় ৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়। এরমধ্যে গুমাই বিল থেকে সিংহভাগ ধান উৎপাদিত হয়ে থাকে। এবার ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য অনেকটা বেশি। তারপরও ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন।