কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনের খবর পেলে ব্যবস্থা : জেলা প্রশাসক

28

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, পাহাড় কাটা, সরকারি সম্পত্তি দখল কিংবা কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, এক শ্রেণির চক্র কৃষি জমির টপসয়েল কেটে ইটভাটা ও অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জমিগুলো অনাবাদি হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনের সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও পাহাড় কাটার সাথে জড়িত এবং সরকারি সম্পত্তি দখলকারী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। কৃষি জমির টপসয়েল কাটার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদেরকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী কৃষি জমিতে কোনো ধরণের স্থাপনা করা যাবে না। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে সবজি চাষ ও বৃক্ষের চারা রোপণের আওতায় এনে ভ‚মির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে সরকারি জমি ও পাহাড় উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, সরকারি রাস্তা দখল করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বিগত মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবীর আহম্মেদ, সিএমপি’র এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, দি চিটাগাং চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব (সাতকানিয়া), তৌহিদুল হক চৌধুরী (আনোয়ারা), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী)।