কি দোষ ছিল শিশু ওয়ালীদের

32

হাটহাজারী প্রতিনিধি

শিশু মো. ওয়ালীদ। বয়স সাড়ে ৩ বছর। সবে মাত্র কথা বলা শিখেছে। তার মা ও দাদি দুপুরে তাকে বাসায় একা রেখে গোসল করতে পুকুরে গেলে কে বা কারা ঘরের ভেতর ঢুকে গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গত ১৫ জুন হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিকারপুর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে নেয়ামত আলী সড়ক এলাকায় এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানাধীন মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহাবুর রহমান। নিহত ওয়ালিদ উক্ত এলাকার হাঁচি মিয়া তালুকদার বাড়ির মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মো. জাবেদ ও ইসরাত জাহান নিশাত দম্পতির একমাত্র পুত্র। নিহতের চাচা মো. খোরশেদ জানান, ওয়ালিদের মা ও দাদি গোসল করতে পুকুরে গেলে কে বা কারা ঘরের ভেতর ঢুকে আমার ভাইপো ওয়ালিদের গলায়, পেটে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় সে (ওয়ালীদ) ঘরে একা ছিল। গোসল করে তার মা ঘরে এসে দেখতে পায় ওয়ালিদ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় আমরা তাকে দ্রুত কয়েকটি হাসপাতালে নেয়ার পরে কুয়াইশস্থ এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ সময় সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আমরা এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এদিকে, পুলিশ খবর পেয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ওই শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ময়না তদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কেন শিশু কে বা কারা হত্যা করেছে এ ব্যাপারে থানা পুলিশ এখনও কোন ক্লু বের করতে পারেনি।
তবে হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহাবুর রহমান। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে বলে পুলিশ দাবী করেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবার থানায় কোন মামলা দায়ের করেনি বলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জানিয়েছে।