কিমের ‘গুরুতর অসুস্থতার’ খবর প্রত্যাখ্যান দক্ষিণ কোরিয়ার

91

হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন ‘গুরুতর অসুস্থ’ বলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে যে খবর এসেছে তা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। গত সপ্তাহে দাদা কিম ইল সুংয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার পর থেকেই কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল। পক্ষত্যাগী উত্তর কোরীয়দের একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার সিএনএনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হতে পারে’ বলে গুঞ্জন উঠে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা খবরটি পর্যালোচনা করে দেখছেন বলেও জানায় তারা।
উত্তর কোরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে কিমের ‘অবস্থা আশঙ্কাজনক’, তার ‘মস্তিষ্ক কাজ করছে না’ কিংবা তিনি ‘অস্ত্রোপচার থেকে সেরে উঠছেন’ এমন শিরোনামের প্রতিবেদনগুলোর তথ্য যাচাই ‘কার্যত অসম্ভব’ বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী কিম ‘গুরুতর অসুস্থ’ উত্তরের দিক থেকে এমন সুনির্দিষ্ট কোনো ইঙ্গিতই পাওয়া যায়নি। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার শারিরীক অবস্থা নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন সত্য নয়, চীনা গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন সূত্রও একই দাবি করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কিম সর্বশেষ ১১ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানায় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম; পরদিন তাদের দেয়া তারিখবিহীন একটি ছবিতে উত্তরের শীর্ষনেতাকে বরাবরের মতোই হাসিখুশি ও উচ্ছ¡ল দেখা গেছে। কিন্তু এরপর থেকেই কিমের আর কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় তিনি উপস্থিত ছিলেন কিনা, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তারও কোনো তথ্য মেলেনি। সাধারণত এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কর্মসূচিতে কিমের সশরীরে উপস্থিতির কথা দেশটির গণমাধ্যম ফলাও করে জানায়। বুধবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানেও কিম ছিলেন না; এর আগে কখনোই দাদার জন্মদিনের বর্ণিল অনুষ্ঠানে কিমকে অনুপস্থিত দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামুলি কোনো কারণে কিম সেদিন জনসমক্ষে আসতে চাননি, এমনটা মনে হচ্ছে না।