কিডনী রোগী ও স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা ভিন্ন এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি

4

নিজস্ব প্রতিবেদক
চমেক হাসপাতালে কিডনী ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়েকৃত মামলার তদন্ত ভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে করার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইট্স। গতকাল সোমবার সংস্থাটির চেয়ারপারসন অ্যাড. এলিনা খান ও মহাসচিব অ্যাড. জিয়া হাবীব আহসান এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহŸান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, যেহেতু ওসি পাঁচলাইশ ও সংগীয় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দরিদ্র ডায়ালাসিস রোগী ও স্বজনদের হয়রানি, নির্যাতন ও মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়েরের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেহেতু পাঁচলাইশ থানার মামলা (নং ০৭(০১)২৩) ন্যায় বিচারের স্বার্থে ভিন্ন কোনো এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, সকল প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় অভিযুক্ত পাঁচলাইশ পুলিশ কর্তৃক শান্তিপূর্ণ মানবিক প্রতিবাদ কর্মস‚চি পালনকালে ডায়ালাইসিস রোগী বিধবা নাসরিন আক্তার ও তার একমাত্র পুত্র মোহাম্মদ মোস্তাকিমকে হয়রানি, শারীরিক আক্রমণ, গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের আবেদনসহ পাঁচলাইশ পুলিশের প্রতিটি অতি উৎসাহী ভ‚মিকা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাই ওই মামলাটি পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অধীনে সঠিক তদন্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মামলাটি মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সিআইডি, ডিবি, পিবিআই, র‌্যাব অথবা অন্য যে কোনো তদন্ত সংস্থা দ্বারা তদন্তের নির্দেশ দেয়া প্রয়োজন। নইলে মোস্তাকিমসহ আরো ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত কিডনী রোগী ও রোগীর স্বজনরা ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। যেহেতু মামলার বাদী পুলিশ, তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ও স্বাক্ষী পুলিশ এবং তারা সবাই পাঁচলাইশ থানার ওসির অধীনে কর্মরত সেহেতু মামলার তদন্তভার উক্ত থানা থেকে তুলে নিয়ে অন্য যেকোনো এজেন্সিকে অর্পণ করা বাঞ্ছনীয়।