কালের সাক্ষী পৌরসভার জরাজীর্ণ জোয়ারা ডাকঘর

34

আধুনিকতার ছোয়ায়, কালের বিবর্তনে, যুগের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশের অনেক ইতিহাস। তারই অংশ হিসেবে একসময় কার জৌলুসপূর্ণ কালের সাক্ষী জোয়ারা ডাকঘরটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একসময়কার ঐতিহ্যবাহী জোয়ারা মুন্সেফ বাজার সংলগ্ন বাঁশের বেড়া দ্বারা, টিনের ছাউনি দিয়ে নির্মিত জোয়ারা ডাকঘরটি এখন অব্যবহৃত অবস্থায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অভিভাবকহীন ডাকঘরটি যেন একটি ঘরের কঙ্কাল। টিনগুলি জং ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। জানালা দরজা ভাঙ্গা অবস্থায় খালি ঘরটি পড়ে আছে। সরকারী সম্পওি হওয়ার কারণে কেউ হয়তো নিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, পাকিস্তান শাসন আমলে তৎকালীন পটিয়া থানার জোয়ারাবাসীর যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পূর্ব জোয়ারার প্রয়াত মোজাহের চৌধুরীর ঐকান্তিক প্র”েষ্টায় জোয়ারা ডাকঘরটি স্থাপিত হয়। প্রথমে বর্তমান চন্দনাইশ সদর আলতাফ মিয়া চৌধুরীর মাটির দোকান ঘরে, পরে মাইজ্জা মিয়ার বাংলোতে, পরবতীতে পূব জোয়ারা কুতুব শাহ পুকুর পাড়ে মাটির ঘরে চলে ডাকঘরের কার্যক্রম। সর্বশেষ স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে জোয়ারাতে বর্তমান জরাজীর্ণ ডাকঘরটি নির্মাণ করে মোজাহের চৌধুরী চাকরিরত অবস্থায় ১৯৯৭ সালে মারা যান। ১৯৮২ সালে পটিয়া থেকে চন্দনাইশ আলাদা থানা হওয়ার পর জনগনের সুবিধার্থে ৮০ দশকের শেষের দিকে বর্তমান চন্দনাইশ সদরে পূর্ব জোয়ারা ডাকঘরটি স্থাপিত হয়। ফলে জোয়ারা ডাকঘরটি তার জৌলুস হারাতে থাকে। পরবতীতে ৯০ দশকে একপর্যায়ে জোয়ারা ডাকঘরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ডাকঘরটি অভিভাবকহীন হয়ে এ অবস্থায় কালের সাক্ষী হিসেবে পড়ে আছে।