‘কার্যত অবরুদ্ধ’ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল

30

নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের একটি অংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ বিচারের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যত অবরুদ্ধ দশায় পড়েছে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত পরশু ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের সদস্য এবং ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামিকাল (বুধবার) প্রসিকিউটর, তদন্ত সংস্থা ও ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয় মিলে আরেকটা ভিডিও কনফারেন্স করব। কিভাবে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণকে ভাইরাসমুক্ত করা যায়, সেই আলোচনা হবে’।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় সরকার অফিস-আদালত বন্ধের ঘোষণা দিলে ২৫ মার্চ শেষ অফিস করেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মীরা। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, এপিবিএন এবং এসবি সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের সীমানার ভেতরে দু’টি ব্যারাকে থেকে যান।
জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘ব্যারাকে ফোর্স ছিল ৮১ জন। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে ২২ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। ১৩ জন কোয়ারেন্টিনে আছে’। বর্তমানে ১৮ থেকে ১৯ জনকে দায়িত্বে রেখে বাকিদের প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে এই প্রসিকিউটর বলেন, ‘এর ফলে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা ও আমাদের সুরক্ষা দুটোই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। যে ১৮-১৯ জন ফোর্স আছে, তারা আবার ব্যারাকেই কোয়ারেন্টিনে আছে’।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অফিসিয়ালি লকডাউন ঘোষণা না করলেও ট্রাইব্যুনাল কার্যত লকডাউন হয়ে গেছে। ভেতরের কেউ বের হচ্ছে না, বাইরে থেকেও কেউ যাচ্ছে না। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে’।
ট্রাইব্যুনালের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন এর এক সদস্যের শরীরে গত ২৪ এপ্রিল প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। ২৭ এপ্রিল আরও দু’জনের পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপর ২৯ এপ্রিল আক্রান্ত হন আরও ৩ জন। এরপর তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। খবর বিডিনিউজের
করোনাভাইরাস সঙ্কটে বিচার কার্যক্রম চালু রাখতে সরকার ইতোমধ্যে অধ্যাদেশ জারি করে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর সুযোগ তৈরি করেছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা মেনে ইতোমধ্যে হাই কোর্টে ভার্চুয়াল আদালতের শুনানিও শুরু হয়েছে। তবে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর বিষয়ে কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।