কারাগারে যাওয়ার পরও চাকরিতে বন্দরের কর্মচারী

22

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রশাসন বিভাগের এক কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় কারাগারে যাওয়ার পরও চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম প্রধীর রঞ্জন নাথ। অথচ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রবিধানমালার ৪৫ ধারার ৫ উপধারা অনুযায়ী কারাগারে যাওয়া আসামি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হবেন। প্রধীরের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের সভাপতি এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান। গত ৯ নভেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত একটি চিঠি রিসিভ করে।
সদরঘাট থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, স্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট হিসেবে চাকরি করার সুবাদে মামলার বাদী এডভোকেট সোমেশ চন্দ্র দাশও অভয়মিত্রঘাটস্থ বন্দর আবাসিক কলোনীতে থাকেন। তিনি একটি গাড়ি কেনার সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে গাড়ি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ভবনের নীচে অস্থায়ীভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে আসামি প্রধীর নাথ ও তার স্ত্রী তার গৃহপরিচারিকার উপর কয়েক দফায় হামলা চালান। এতে গুরুতর আহত হন গৃহপরিচারিকা। এ ঘটনায় সদরঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন এডভোকেট সোমেশ। এদিকে গত ১৫ ফেব্রæয়ারি প্রধীরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। যদিও কয়েকদিন পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। এরপর বিভিন্নভাবে প্রধীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বলে জানান বাদী এডভোকেট সোমেশ। এছাড়া গত ৯ নভেম্বর এ সংক্রান্তে হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের একটি চিঠি বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে যায় বলে জানান সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান। তিনি বলেন, বন্দরের প্রবিধানমালায় স্পষ্ট আছে কোন কর্মচারী কারাগারে গেলে তিনি সাময়িক বরখাস্ত হবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন দেরি হচ্ছে? কার কারণে দেরি হচ্ছে? সেটা বুঝতে পারছি না।