কাভার্ডভ্যান থেকে পণ্য চোরচক্রের ১০ সদস্য গ্রেপ্তার

43

চট্টগ্রাম বন্দর ও ডিপো থেকে বের হওয়ার পর কাভার্ডভ্যান থেকে আমদানি পণ্য চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৭টি কাভার্ডভ্যান থেকে চুরি করা ১৫৫ বস্তা রেজিন (দানাদার রাসায়নিক পদার্থ) উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল সকাল পর্যন্ত গত দুইদিনের অভিযানে নগরী ও জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হল- মো. সালাউদ্দিন (২২), আব্দুল মান্নান (৩৪), মো. রাশেদ (৩৬), সেন্টু হাওলাদার (২৭), মো. নজরুল ইসলাম (২৯), মো. আবু সুফিয়ান রুবেল (২৬), মো. ফারুক (৩৫), মো. আলমগীর লিটন (৩৫), পংকজ দাশ (৫১) ও সজল দেব(৪১)।
অভিযানে থাকা নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসাইন জানান, আমদানি-রপ্তানির কন্টেইনার থেকে কাভার্ডভ্যানে পণ্য ওঠানোর পর সেখান থেকে চুরি করে এমন কয়েকটি চক্র আছে। আমরা একটি চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। এই চক্রের সদস্যরা সাধারণত বস্তাভর্তি যেসব পণ্য থাকে সেগুলো চুরি করে। এর আগে আমরা আরও কয়েকটি চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করি।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৫ জানুয়ারি নগরীর খাতুনগঞ্জের নবী সুপার মার্কেটের ‘মেসার্স গুডলাক ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সি’র ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অভিযোগ করা হয়- গত ১ জানুয়ারি রাফি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের আমদানি করা ৩ হাজার ৫৯৪ ব্যাগ সিবিসি রেজিন তাইওয়ান হোয়াইট ৭টি কাভার্ডভ্যানে করে নগরীর বিমানবন্দর সড়কের ভারটেক্স ডিপো থেকে আমদানিকারকের কারখানায় পাঠানো হচ্ছিল। কভার্ডভ্যানগুলো তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে ২টি কভার্ডভ্যানে ৭৫ ব্যাগ ও ৮০ ব্যাগ পণ্য পাওয়া যায়নি। এসব গাড়ির চালকদেরও খোঁজ মিলছে না।
এসআই মোজাম্মেল জানান, মামলা দায়েরের পর প্রথমে গাড়িচালক সালাহউদ্দিন ও আব্দুল মান্নানকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নগরীর বাকলিয়া থানার চাক্তাই ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন জননী পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডের গুদাম থেকে ১৫৫ বস্তা চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। নির্দিষ্ট ক্রেতারাই সাধারণত এসব পণ্য কেনেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।