কাপ্তাইয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা

16

শিশিরে শিশিরে শারদে পাতে, ভোরের আলো। আশ্বিন বিদায়ের পথে, শিউলি ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা চারিদিক। প্রতিবছর আশ্বিন এলে শুরু হয়ে যায়, সনাতনি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপুজার প্রস্তুতি, তবে এ বছর কালের পরিক্রমায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে কার্তিক মাসে, দিন পন্জিকা অনুযায়ী মল মাসের কারণে এ বছর পুজা একটু দেরীতে শুরু হচ্ছে। আগামী ২২ অক্টোবর মহা যষ্ঠীর মাধ্যমে দেবীকে আহ্বান করবেন ভক্তরা। আগামী ২৬ অক্টোবর বিজয়াা দশমীতে প্রতিমা নিরজনের মাধ্যমে ৫ দিনব্যাপী এ পুজা শেষ হবে। তবে মহামারি করোনার প্রকোপে কিছুটা হলেও জনমনে আতন্ক নিয়ে পুজার প্রস্তুতি শুরু করেছেন সনাদন সম্প্রদায়ের লোকজন। কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য জানান, এ বছর কাপ্তাইয়ে ৭টি পুজামন্ডপে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ডপগুলো হল কাপ্তাই লগগেইট জয়কালী মন্দির, রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালি মন্দির, কেপিএম কয়লার ডিপু প্রকল্প হরি মন্দির, চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা আদি নারায়ণ বৈদান্তিক বিদ্যালয়র ও সিদ্বিশ্বরি কালি মন্দির, শিলছড়ি দূর্গা মন্দির এবং কাপ্তাই প্রজেক্ট ব্রিকফিল্ড দূর্গা মন্দির। কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু জানান, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পুজা উদ্যাপন কমিটির ২৬ টি নির্দেশনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধী ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এ বছর পুজা উদযাপন করা হবে। এদিকে গত ১৪ অক্টোবর কাপ্তাইয়ের শিলছড়ি দূর্গামন্ডপে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায়, শেষ মূহুর্তের তুলির আঁছড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পী মাদল আচার্য্য জানান। তিনি জানান গত কয়েকমাস ধরে তিনি এ প্রতিমা তৈরী করছেন। মন্দিরে সভাপতি সুনীল দাশ, সম্পাদক লিটন দাশ এবং অর্থ সম্পাদক সুভাষ দাশ জানান, আমরা অপেক্ষা করছি কখন মায়ের আগমন ঘটবে। চন্দ্রঘোনা আদিনারায়ন বৈদান্তিক বিদ্যালয় পুজামন্ডপের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিজিৎ দাশ কিষাণ জানান, বাঁশের মাচাং ঘরের আদলে তৈরী করা হয়েছে তাদের পুজামন্ডপকে। ঐতিহ্যবাহি শতবর্ষী রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালি বাড়ির সভাপতি মিলন কান্তি দে, সম্পাদক টিটু দেব জানান, ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এ বছর মার আগমন ঘটবে দোলায় এবং গমন ঘটবে গজে, ফলে শস্যপূর্ণ হবে বসুন্ধরা।