কাপ্তাইয়ে পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ

12

কাপ্তাই প্রতিনিধি

কয়েক দিনের টানা বর্ষণে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপ‚র্ণভাবে বসবাসরতদের নিজ উদ্যোগে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া শনিবার (১৮ জুন) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয় কেন্দ্রে দ্রæত চলে আসতে নির্দেশ দিয়েছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, ইতিমধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে প্রচারণা ও মাইকিং করা হয়েছে। শনিবার বিকালের মধ্যে না এলে প্রয়োজনে তাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
কাপ্তাই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যেতে কাছাকাছি ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলো হল- কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াগগা মুরালীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াগগা উচ্চ বিদ্যালয়, চিৎমরম ইউপি কার্যালয়, রাইখালী কারিগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়নগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়।
কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে দেখা যায়, তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী নয়। অনেকে বলেন, বেশি বৃষ্টি হলে আশ্রয় কেন্দ্রে যাব। এখন গিয়ে কী হবে?
কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন স‚ত্রে জানা গেছে, ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছে প্রায় শত শত পরিবার। গত শুক্রবার থেকে টানা বর্ষণ চলছে। শনিবারও সারাদিন থেমে থেমে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৩ জুন কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি সাধিত হয়।