কাপ্তাইয়ে গুলিবিনিময় মাটিরাঙ্গায় গুলিতে যুবক নিহত

14

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় আঞ্চলিক সংগঠনের দুইগ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এক উপজাতীয় যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল সোমবার ভোর সোয়া ৫ টায় উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের সুকুমার কার্বারি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। নিহত উত্তম কুমার ত্রিপুরা (২৬) স্থানীয় হেডম্যানপাড়ার সুনীল ত্রিপুরার ছেলে। তিনি ইউপিডিএফ সদস্য ছিলেন। আহত চিগন চিজি চাকমা (২৪) ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপের) কর্মী বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে সংগঠনটি।
ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আজ সোমবার সকালে মুখোশধারীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে স্থানীয় যুবক উত্তম কুমারকে খুন করে। এতে আমাদের সংগঠনের এক কর্মী আহত হয়।’
পুলিশ জানিয়েছে, গোলাগুলির ঘটনার পর বিজিবির যামিনীপাড়া জোনের একটি টহল দল তল্লাশি চালিয়ে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় একটি একে-২২, তিনটি গুলি, একটি দেশীয় অস্ত্র ও ৩১টি গুলির খোসা, ইউপিডিএফের সাংগঠনিক নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তবে আহত ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।

কাপ্তাইয়ে গুলিবিনিময় : কাপ্তাই প্রতিনিধি জানান, কাপ্তাই উপজেলাধীন চিৎমরম হেডম্যানপাড়া ফরেস্ট এলাকায় বিবাদমান দুটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া ফরেস্ট এলাকায় দুটি সন্ত্রাসী দলের মধ্যে প্রায় ১০-২০ মিনিট পর্যন্ত গুলি বিনিময়ের এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। গুলি বিনিময়ের শব্দ শুনে এলাকার লোকজন আতংকে ছুটাছুটি করতে থাকে। আবার ভয়ে অনেকে নদীর ওপারে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, চিৎমরম বাজারের ব্যবসায়ীরা ভয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। গোলাগুলির কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। চিৎমরমের ইউপি চেয়ারম্যান ওয়েশিমং চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এখানে জেএসএস নামের একটি আঞ্চলিক দল রয়েছে পূর্বে থেকে। তবে নতুন করে অন্যদল প্রবেশ করতে পারে। যার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ১০ থেকে ২০ মিনিটের মত উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে নদীর ওপারে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছি। এদিকে, বেলা দেড়টার দিকে কাপ্তাই বিজিবির একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। ঘটনা সম্পর্কে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, চিৎমরমের ইউপি সদস্য আলম ফোন করে জানায়, উক্ত এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে ২-৩ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে জরুরি পুলিশ টহল দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। অপরদিকে, বেলা দুটার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চিৎমরম বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে শুরু করে। তবে নতুন করে এ ধরনের ঘটনা ঘটায় পুরো চিৎমরমবাসির মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।