কাপ্তাইয়ে পারিবারিক কলহের জের ও বন্ধুদের আত্মহত্যা শিখাতে গিয়ে মজার ছলে প্রাণ গেল দুই যুবকের। নিহতরা হলেন মো. শোয়েব আহমেদ (২৮) ও মো. নাইমুর রহমান নয়ন (২২)। গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় এবং গতকাল সোমবার ভোরে কাপ্তাই ইউনিয়নের প্রজেক্ট এলাকায় পৃথক এ দুই ঘটনা ঘটে।
নিহত শোয়েব কাপ্তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাড়িচালক খয়েজ আহমদ তরুণের ছেলে। সে পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনাশ্রমে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপরদিকে নিহত নাইমুর রহমান কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘রাতে প্রজেক্ট এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে শোয়েব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। অন্যদিকে নাইমুর রহমান নামের এক যুবকও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শোয়েবের মৃত্যুর পর বন্ধুদের সঙ্গে কিভাবে আত্মহত্যা করে সেই গল্প করছিল নাইমুর রহমান নয়ন। এক পর্যায়ে বন্ধুদের আত্মহত্যা কিভাবে করে তা দেখাতে গিয়েই ফাঁস পড়ে যায় নয়নের গলায়। পরে দ্রুত চন্দ্রঘোনা মিশনারি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার প্রবীর খিয়াং জানান, হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়।
কাপ্তাই থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
