কানাডাকে উড়িয়ে শেষ ষোলোর পথে ক্রোয়েশিয়া

7

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

শুরুটা এর চেয়ে ভালো হতে পারত না। ৬৮ সেকেন্ডের মাথায় বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম গোল! কিন্তু এরপর রক্ষণে ঢুকে গেল কানাডা। দিলো এর মাশুল। একের পর এক আক্রমণে তাদের ভাসিয়ে দিয়ে এগিয়ে গেল ক্রোয়েশিয়া। উজ্জ্বল করল শেষ ষোলোর সম্ভাবনা। গতকাল আল রাইয়ান খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ‘এফ’ গ্রæপের ম্যাচে ৪-১ গোলে জিতেছে গত আসরের রানার্সআপরা। শুরুতে কানাডাকে এগিয়ে নেন আলফুঁস ডেভিস। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে জোড়া গোল করেন আন্দ্রেই ক্রামারিচ। মার্কো লিভাইয়া ও লভরো মাইয়ের করেন একটি করে গোল।
প্রথম ভালো আক্রমণেই এগিয়ে যায় কানাডা। তাহোন বিউকানানের চমৎকার ক্রস দুর্দান্ত হেডে জালে পাঠান বেলজিয়ামের বিপক্ষে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হওয়া ডেভিস। খেলার বয়স তখন মাত্র ১ মিনিট ৮ সেকেন্ড!
এরপর রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে কানাডা। সুযোগ পেয়ে চড়াও হয় ক্রোয়েশিয়া। ২৬তম মিনিটে জালে বল পাঠান ক্রামারিচ। কিন্তু তাকে বল দেওয়া আরেক ফরোয়ার্ড লিভাইয়া অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।
৩৫তম মিনিটে খুব কাছ থেকে লিভাইয়ার শট ঠেকিয়ে কানাডার ত্রাতা গোলরক্ষক মিলান বোরিয়ান। এর দুই মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। ইভান পেরিসিচের চমৎকার রিভার্স পাসে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত ক্রামারিচ।
৪৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ডি-বক্সের মাথায় বল পেয়ে বুলেট গতির শটে বোরিয়ানকে এড়িয়ে জাল খুঁজে নেন লিভাইয়া।
এই গোলে দারুণ অবদান ইয়োসিপ ইউরানোভিচের। মাঝমাঠ থেকে অনেকটা এগিয়ে যান তিনি। শেষ দিকে এক পর্যায়ে বল হারিয়েও ফেলেন। পরে ফেরত পেয়ে কোনোমতে পা বাড়িয়ে খুঁজে নেন লিভাইয়াকে। বাকিটা সারেন কানাডার রক্ষণে ভীতি ছড়ানো এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর আরো আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মদ্রিচরা। মাঝমাঠ দখল নিয়ে কানাডার উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে তারা। ৫৪ মিনিটে লিভাকোভিচের দুর্দান্ত শট রুখে দেন কানাডার গোলরক্ষক। এর ঠিক পরের মিনিটে আবারো সেই কানাডার গোলরক্ষক দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মদ্রিচদের সামনে। মদ্রিচের বাড়ানো বলে ক্রামারিচের শট রুখে দেন তিনি।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান ক্রামারিচ। আবারো সেই পেরেসিচের বাড়ানো বলে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করে দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। খেলা শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে কানাডার ডিফেন্ডারের ভুলে ফাকা মাঠে বল পেয়ে ডিবক্সের সামান্য ভেতরে মায়েরের কাছে বল পাঠালে তিনি সেটিকে গোলে পরিণত করেন। ৪-১ ব্যবধানের বিশাল জয়ে গ্রæপের শীর্ষে উঠে আসলো ক্রোয়েশিয়া। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম।