কাদায় বেহাল বড়খোলা পাড়া সড়ক, দুর্ভোগ

16

মাসুদ নাসির, রাঙ্গুনিয়া

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সরফভাটা ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ বড়খোলা পাড়া কাদামাক্ত আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির কারণে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এক সময়ে রাঙ্গুনিয়া থেকে বড়খোলা পাড়া পাহাড়ি এলাকা জন বিচ্ছিন্ন ছিল। পাহাড়ি জনপদে বাসিন্দা হিসেবে কমপক্ষে ৩শ পরিবার উপজাতীয় দেড়শ পরিবার বাঙ্গাণী নিয়ে বড়খোলা পাড়া। কিছুদিও আগেও ছিলনা বিদ্যুৎ, যাতায়তের ব্রিজ কালভাট কিংবা স্কুলের ভবন সব মিলিয়ে এ এলাকার জীবনমান পিছিয়ে ছিল। এখন সব হয়েছে পাহাড়ি এলাকা বড়খোলা পাড়ায় সহজে যাওয়া আসা যায়। এলাকার মানুষের দুঃখ যাতায়তের একমাত্র সড়কটিতে এখনও ইট সলিং হয়নি। সড়কটি দিয়ে যাতায়তে মারাত্মক ঝুঁকির মাঝে চলাচল করতে হয়। এ বর্ষায় সড়কটি একেবারে জন ও যানচলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। কাদা মাড়িয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের আসা যাওয়াতে প্রতিনিয়ত সমস্যা হচ্ছে। সড়কটি চলাচল অনুপযোগি হওয়ায় এলাকার সার্বিক কার্যক্রমে অন্য এলাকার চেয়ে পিছিয়ে রযেছে। এলাকার উৎপাদিত নানা ফসল সড়ক যোগে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন বাজারে আনতে না পারায় কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবারের চলতি বর্ষায় এ সড়কটি কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে চলাচলে অনুপযোগি হযে পড়েছে। বড়খোলা পাড়ার বাসিন্দা অনন্ত মার্মা জানান, আমরা পাহাড়ি এলাকার মানুষ। আমাদের চলাচলের সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় আমাদেরও যাতায়তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি সংস্কার হলে পাহাড়ি জনপদ বড়খোলা পাড়ার সব কিছুতে আমূল পরিবর্তন আসবে। মানুষের জীবন মান বৃদ্ধি পাবে। বদলে যাবে এ জনপদের সার্বিক চিত্র। বড় খোলা পাড়ার কৃষক ওবাচিং মার্মা জানান, সড়কটির কারণে আমার বাগানের লেবুসহ নানা ফলজ পণ্য কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সড়কটি চলাচর উপযোগি হলে বদলে যেতো বড় খোলা পাড়ার অর্থনৈতিক চিত্র। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম জানান, করোনা মহামারির কারণে সড়কটি সংস্কার কাজ হয়নি। এখন অল্প দিনের মধ্যে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, পাহাড়ি এলাকা বড়খোলা পাড়ার সড়কটি এলাকর জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ। সড়কটি সংস্কারে জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। অচিরেই এসড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে।