কাতার আমিরের ওপর নজরদারি চালিয়েছে ইসরায়েলি কোম্পানি

31

কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানির ওপর নজরদারি চালিয়েছে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও। গোয়েন্দাবৃত্তির এই কাজে কোম্পানিটির একটি স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শালেভ হুলিও। এখবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর। শনিবার শালেভ হুলিও জানান, ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর তেল আবিব ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ৪০০ এনএসও কর্মীর কাছে কোম্পানির নির্মিত স্পাইওয়্যার দিয়ে গোয়েন্দাবৃত্তির বিস্তারিত জানান। যাদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন কাতারি আমির ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ২০১৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও’র নির্মিত পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনেছে। এর মধ্য দিয়ে আমিরাত কাতারি আমির, সৌদি প্রিন্স মুতাইব বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুলআজিজসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর নজরদারি চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন ইসরায়েলি এনএসও কোম্পানি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলি কোম্পানিটি যদি সৌদি আরবের কাছে মোবাইল ফোন স্পাইওয়্যার বিক্রি না করত তাহলে খাশোগি এখন জীবিত থাকতেন। একটি মানবাধিকার সংস্থার তদন্তের কথা উল্লেখ করে স্নোডেন জানিয়েছেন, খাশোগির অন্তত তিনজন বন্ধুর ফোন হ্যাক করার কাজে এনএসওর পেগাসাস নজরদারি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে খাশোগির কথোপকথন নজরদারির আওতাতেই ছিল।
এনএসও নির্মিত পেগাসাস নামের স্পাইওয়্যারটি ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু বানানো ব্যক্তির মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায়। ফলে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনের সব তথ্য জানতে পারা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সরকার এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে।