কাগতিয়া মাদরাসা, দরবার ও তরিক্বতে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে গ্রেপ্তারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

48

আজ (১৮ জুলাই বুধবার) সন্ত্রাস নৈরাজ্য লুটপাট বন্ধের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবুল হাসেম লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলমান তান্ডবলীলায় রাউজানবাসী চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে, অনেকে হয়েছে বাড়িঘর ছাড়া, সন্ত্রাসীরা অবৈধভাবে দখল করছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চাকরিজীবিদের যেতে দেওয়া হচ্ছেনা কর্মস্থলে, লুটপাটের মাত্রা এমন পুকুরের মাছ থেকে শুরু করে, হাস মুরগির খামার, দিন দুপুরে বাড়িঘরে ছিনতাই। এ নৈরাজ্য যেন মনে করিয়ে দেয় একাত্তরের কালো দিনগুলোকে। পাকিস্তানি দোসর যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি সেজে রয়েছে তারাই এই ঘৃন্য পৈশাচিক কাজগুলোতে লিপ্ত। স্থানীয় গড়ফাদারদের সহযোগিতায় চলছে নারকীয় এ নৈরাজ্য। কাগতিয়া দরবারের অনুসারিদের উপর চলছে অমানুষিক অত্যাচার নিপীড়ন। রাউজানের আকাশে বাতাসে যেন হাহাকার আর হাহাকার। ঈদের সময়ও মানুষ বাড়িতে ঈদ করতে পারেনি। দীর্ঘ চার যুগের ও অধিক সময় ধরে কাগতিয়া দরবার শরীফের কার্যক্রম সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। হযরত গাউছুল আজমের পথ ধরে সেই কাজ এখনও করে যাচ্ছেন উনার একমাত্র প্রতিনিধি হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ আহমদী। সেই সাথে পরিচালনা করছেন কাগতিয়া মাদরাসাকে। যার ইতিহাস ঐতিহ্য অনেকদিনের। অতীব দুখের বিষয় হল এরকম একটা ঐতিহ্যবাহী মাদরাসায় ঢুকে সন্ত্রাসীরা যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। রাউজানের স্থানীয় এমপির মদদে সংগঠিত হচ্ছে এমন নৈরাজ্য। যে মাদরাসাকে গাাউছুল আজম নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালবাসতেন সে মাদরাসাকে তিনি এবং উনার একমাত্র প্রতিনিধি হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ আহমদী এশিয়াখ্যাত মাদরাসায় পরিণত করেছেন। অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক বিষয় হল সন্ত্রাসী লুটেরা বাহিনী এ মাদরাসার অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে মাদরাসাকে লুট করার মানসে মাদরাসা পরিচালনার কাজে যে অশুভ হস্তক্ষেপের পাঁয়তারা করছে তার তীব্র নিন্দা এবং সকল প্রকার ঘৃন্য ষড়যন্ত্র বন্ধ ও ষড়যন্ত্র মুলক সকল মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় । বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্যে পরিণত হচ্ছে রাউজান। সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার জননী দেশরতœ শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। বক্তারা বলেন বঙ্গবন্ধু আজীবন নীপিড়িতের পাশে ছিলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন তারই পথ ধরে আপনিও চলছেন। আপনিই বলেছেন দেশের মানুষ কষ্টে থাকলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা কষ্ট পাবে। অথচ আমরা রাউজানবাসী আজ তিন মাস ধরে হায়েনার কবলে আছি। আপনি আমাদের অভিভাবক আপনার সহযোগিতায় আমরা ফিরে পেতে পারি আমাদের স্বাভাবিক জীবন। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আপনিই আমাদের রক্ষা করুন। বক্তারা আরো বলেন রাউজানের এমপির ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকেও স্বাধীন সাংবাদিকতার মাধ্যমে সত্য প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের এমন নৈরাজ্য কখনো মেনে নেওয়া যায় না। তাই তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, এবং উর্ধ্বতন প্রশাসনের প্রতি রাউজানে চলমান নৈরাজ্য বন্ধের জন্য জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সরওয়ার কামাল, সংগঠনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবুল হাসেম, মাওলানা মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।