‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা জি এম কাদেরের

5

ঢাকা প্রতিনিধি

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সামনে প্রশাসন বা সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অসহায় হয়ে পড়ে। তাই কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশংকা আছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকার প্রধান ঘোষণা দিয়েছেন আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ। সবগুলো আসনে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ না করলেও, যে সকল আসনে সরকারদলীয় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না সেখানে হয়তো ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ চলবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি প্রহসনের নির্বাচন চায় না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হলে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংলাপে অংশ নেবো।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমিন সুলতানা তুলির নেতৃত্বে একদল নারী উদ্যোক্তা জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এসময় তাদের স্বাগত জানিয়ে দেয়া বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। উপনিবেশিক আমলে মানুষকে শোষণ করতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হতো। প্রশাসকদের জবাবদিহিতা থাকতো শুধু সরকারের কাছে, কারণ সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসকদের কোন জবাবদিহিতা থাকে না। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। সকল ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, রাজনীতিবিদদের কোন কর্তৃত্ব নেই। তাই দেশের জনগণের কাছে কারো জবাবদিহিতা নেই।
জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও, চরিত্রগত কোন পার্থক্য নেই। দল দুটি দুনীঁতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজি করে মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করেছে। তারা বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষের কোন অধিকার নেই, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। হাসপাতালের জন্য বড় বড় ভবন তৈরি হচ্ছে, কিন্তু হাসপাতালে ডাক্তার নেই, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে, কিন্তু সেখানে লেখাপড়া নেই, ছাত্রদের শুধু পাশ করিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই। অভিযোগ আছে জাতিকে ধ্বংস করতে মাদক বিস্তারে ক্ষমতাসীনরা জড়িত।
অনুষ্ঠানে আরও মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের, নাজনীন সুলাতানা, মাসরুর মওলা, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফি, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ ভাসানী, মো. বেলাল হোসেন, সম্পাদকমÐলীর সদস্য এনাম জয়নাল আবেদীন, হুমায়ুন খান, ইফতেখার আহসান হাসান, আনোয়ার হোসেন তোতা, এমএ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, গোলাম মোস্তফা, এসএম আল জুবায়ের, মিজানুর রহমান মিরু, খোরশেদ আলম খুশু, যুগ্ম সম্পাদকমন্ডলী তিতাস মোস্তফা, মিঞাজী মো. শহীদুল ইসলাম লিটন, মামুনুর রহিম সুমন, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য সাজ্জাদ পারভেজ, আলমগীর হোসেন, জাকির হোসেন খান, আলাউদ্দিন আহমেদ, জিয়াউর রহমান বিপুল, মো. রেজাউল করিম।