কর্ণফুলী পাড়ের আরও ৩০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

79

কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার আরো প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই লবণ মিল। এ নিয়ে গত তিনদিনে ছোট-বড় ১৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলো। আরো কিছু স্থাপনা দখলদাররা নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছেন। সদরঘাট অংশ শেষ হলেই শাহ আমানত সেতু এলাকায় উচ্ছেদ শুরুর কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অভিযানে থাকা পতেঙ্গা সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘তৃতীয় দিনের মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অব্যাহত রয়েছে। জোন-১ এর ২০ শতাধিক স্থাপনার মধ্যে প্রায় ১৪০টির মতো উচ্ছেদ করা হয়েছে। অনেক দখলদার নিজেরাই সরে যাচ্ছেন। সদরঘাট এলাকার অভিযান শেষ হলেই শাহ আমানত সেতু এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করা হবে।’
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল মাঝির ঘাট, লাইটারেজ জেটি, সদর ঘাট, আনু মিয়া মাঝির ঘাট, বরিশাল ঘাট, কর্ণফুলী ঘাট, ডিএসপি ঘাট, লবণ ঘাট, ডিবি মসজিদসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দুই শতাধিক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। গতকাল মাঝিরঘাট এলাকার ৫২টি লবণ মিল উচ্ছেদে অভিযানে চালালেও দেখা যায়, আগেভাগেই অনেক মিল সরিয়ে নিয়েছেন মালিকেরা।
২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে উঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অর্থ সংকুলান না হওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। ভূমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অর্থ সংস্থানের পর অভিযান শুরু হয়।
এর আগে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষে জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সবধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদালতের নির্দেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর কর্ণফুলীর দুই তীরে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে।