কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগ সভাপতির ২ কোটি টাকার মানহানি মামলা

34

কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সোলাইমান তালুকদারের বিরুদ্ধে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা পেয়ার মোহাম্মদ (৫৮) ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম। কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান তালুকদার গত রোববার ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে পেয়ার আহমদ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেও উপজেলার তালিকায় তার পাওয়া যায় নি। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট “ল” রিপোটার্স ফোরাম কার্যালয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলসহ নানা অভিযোগ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে কযেকটি জাতীয় কয়েকটি দৈনিকে ‘বসতভিটা ফিরে পেতে চান চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পেয়ার মোহাম্মদ’ ও বসত ভিটা ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সোলায়মান তালুকদার ১০ বিঘা সম্পত্তি দখল করে। এমনকি দলের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। এ বিষয়ে মামলার বাদি সোলায়মান তালুকদার জানান, প্রধানমন্ত্রীর চলমান শুদ্ধি অভিযানে আমাকে ও আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে বিব্রত করতে একটি স্বার্থন্বেষী মহল ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন ও খবর প্রকাশ করেছে। এতে আমার প্রচুর মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। পদ পদবি ও ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি এবং পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছেন। তিনি রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে আনুমানিক ২ (দুই) কোটি টাকার টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতে মানহানি মামলা করেছি। পেয়ার আহমদ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে। এর মাধ্যমে লোকজনকে বিভ্রান্ত করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোন ধরণের সনদ ও তালিকায় তার নাম নেই। বাদির আইনজীবি এাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘পেয়ার মোহাম্মদসহ ১ জনের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটিকে আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের আদেশ প্রদান করেছেন। এদিকে পটিয়া-কর্ণফুলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, নবসৃষ্ট কর্ণফুলী উপজেলায় পেয়ার মোহাম্মদ নামের কোন মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় নেই। যদি এ নামে কেউ মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তা হলে তা হলে অবৈধ ও ভুয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পেয়ার মোহাম্মদ বলেন, জায়গাটি নিয়ে রোয়েদাদ ও মামলা রয়েছে। সোলায়মান তালুকদার ওই জমির ক্রেতা বা বিক্রেতা নয়, তা সত্য। কিন্তু তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে আমাদের জমি বেদখল হয়েছে বলে মনে করি। আমি মুক্তিযুদ্ধে করলেও অক্ষর জ্ঞান না থাকার কারণে পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নিবন্ধন নিতে পারেননি।