কর্ণফুলীতে বিপুল জাটকা ইলিশ ও জাল জব্দ

37

কর্ণফুলী নদী থেকে বিপুল পরিমাণ জাটকা ইলিশসহ কারেন্ট জাল জব্দ করা করেছে নৌ-পুলিশ। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ কর্ণফুলী নদীর ১১নং জেটিতে অভিযান চালায়।
অভিযানে এমভি শারমিন-১ নামের একটি ট্রলারে বিপুল পরিমাণ জাটকা ইলিশ ও কারেন্ট জাল পাওয়া যায়। এসময় ট্রলারে থাকা ১৮ জনকে আটক করে সদরঘাটস্থ নৌ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জব্দকৃত এক লাখ ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ফিশিং ট্রলারটি আটক রাখা হয়েছে। জব্দ করা জাটকা ইলিশ কর্ণফুলী উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সাহাবুদ্দিন মাঝি (৪৫), জেলে মহিউদ্দিন (৪৮), আখতারুজ্জামান (৫০), নুরুল আলম (৫০), মোহাম্মদ সিরাজ (৪৫), মোহাম্মদ জুয়েল (২২), মোহাম্মদ নয়ন (২৩), মোহাম্মদ রাকিব (২৭), মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন (৪০), সমীর (৩০), মোহাম্মদ রহিজল (৫৫), ইসমাইল (২০), মোহাম্মদ মনির (৩২), কামাল হোসেন (২৩), আবুল কালাম (২৫), মোহাম্মদ মনজু (২০), তসলিম (২৩) ও মোহাম্মদ ফিরোজ (২৭)। পরে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মারুফা বেগম নেলি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রতি জেলেকে দুই হাজার টাকা করে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বঙ্গপোসাগর থেকে গোপনে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছে জেলেরা। সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এমভি শারমিন-১ ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল ও জাটকা ইলিশ জব্দ করে। আটক করা হয় ১৮জন জেলেকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রতিটি জেলেকে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত জাটকা ইলিশ কর্ণফুলী এলাকার ক্রসিং ও পটিয়ার জিরি মাদ্রাসার এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রায় এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, জরিমানা আদায়ের পর জেলেদের মুক্তি দেয়া হলেও ফিশিং বোট আটক রাখা হয়েছে। বোটের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।