করোনো প্রতিরোধে জনসমাগম ঠেকাতে সেনাবাহিনীর টহল

67

রাঙ্গুনিয়া করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম ঠেকাতে রাঙ্গুনিয়ায় গত ২৫ মার্চ সকাল থেকে মাঠে নেমেছেন। মাঠে নামার পর রাঙ্গুনিয়ার দৃশ্যপট বদলে গেছে। সাধারণ জনগন সেনাবাহিনী মাঠে নামায় অনেকটা ঘরমূখি হয়েছেন সাধারণ জনগন। সড়কে বাজারে কিংবা জনসমাগম সে রকম স্থানে বর্তমানে বদলে গেছে। সেনাবাহিনী ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে পুরো রাঙ্গুনিয়া নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছেন। রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভার সড়কে বাজারে দোকানের সামনে কোথাও লোক সমাগম দেখা যায়নি। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী মাঠে টহল দিচ্ছে। সেনাবাহিনী নামার পর উপজেলার শত দোকান নানা প্রতিষ্ঠান নিজেদের থেকে বন্ধ করেদিয়েছে। শুধু মাত্র কাচাবাজার, ওষুধের দোকান, মুদির দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে।
সকালে উপজেলার ব্যাস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান অনেকটা জনমানব শুন্য। যেখানে প্রতিদিন দেশের ৬৪ জেলার মানুষের সমাগম হয় গতকালকের দৃশ্য লিচুবাগান যেন একেবারেই ফাকা। শুধু কয়েকটা প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সব দোকানে তালা ঝুলানো। মানুষের নেই কোন কোলাহল। কোথাও দেখা যায়নি মানুষের জটলা। চট্টগ্রামÑকাপ্তাই সড়কে যাত্রী শুন্য সড়কে পরিণত হয়েছে। হালকা যানবাহন চলাচল করছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাহির হতে দেখা যায়নি। ওষুধ কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের জন্য ২-১ জন বাজার মুখি হয়েছেন। তাও আবার স্বল্প সময়ের জন্য। মানুষ এখন অনেকটা একাকি ঘরেঅবস্থান করতে অবস্থ্য হয়ে পড়েছেন।
রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ গতকাল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তালিকা করে প্রবাসী ফেরৎ মানুষের ঘরে লাল পতেকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাঙ্গুনিয়া বøাড ব্যাংক বিøচিং পাউডার যুক্ত পানি ছিটিয়েছেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নেতৃবন্দ চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানে মাক্স ও জীবানুযুক্ত ওষুধ চিটিয়াছেন। মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে কম। মাস্ক না পরে কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। গতকাল দুপুর দুইটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে েেদখা যায়, পুরো হাসপাতালের বহির্বিভাগের বারান্দা ফাঁকা। সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৮০ জন রোগী টিকেট নেন। এমনিতে প্রতিদিন গড়ে ৪শ থেকে ৫ শ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন। করোনা ভাইরাসের কারনে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী কমে যায়।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা রাজীব পালিত বলেন, করোনা ভাইরাসের বহির্বিভাগে রোগী কমে গেছে। করোনা ভাইরাস সন্দেহ হলে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে যারা রয়েছেন তাঁদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, ওষুধের দোকান ও কাঁচা বাজারের দোকান ছাড়া সব দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এক সাথে মানুষ জড়ো হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে পুলিশ বিদেশ ফেরত ব্যক্তির বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। বিদেশ ফেরত ব্যক্তি যাদের ১৪ দিন অতিক্রম হয়নি তাঁদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হচ্ছে। বাড়ির দরজায় স্টিকার লাগানো হচ্ছে। কোথাও যাতে মানুষ জড়ো না হয় পুলিশ সে বিষযটি দেখছেন। মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে কম। মাস্ক না পরে কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। গতকাল দুপুর দুইটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, পুরো হাসপাতালের বহির্বিভাগের বারান্দা ফাঁকা।