করোনা পুরো পৃথিবীকে কতটা বিপর্যস্ত করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাম্প্রতিক সময়ে আবারও নতুন করে আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উঠে আসছে, করোনায় রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে দ্বিগুণ। এখনো বলা যাচ্ছে না বাংলাদেশে করোনার কোন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে। তবে দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উপস্থিতি আছে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো, রোগী যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ওমিক্রনের সামাজিক ট্রান্সমিশন হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত রোগী হলে তাদের সামলানো কঠিন হয়ে যাবে। তখন ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এতে মৃত্যু বাড়তে পারে। আর তাই নিজেকে বাঁচাতে নিজেরই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এমন বিষয়ও উঠে এসেছে।
আমরা মনে করি, সামগ্রিক এ পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার যথাযথ পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা। একই সঙ্গে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো জরুরি, যেন স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়। উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকার কারণে কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করেছে সরকার। মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে বিধিনিষেধের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে যথাযথ মনিটরিংও অব্যাহত রাখতে হবে।