করোনা নিয়ে রাজনীতি নয় : কাদের

22

নভেল করোনাভাইরাসের সংবেদনশীল বিষয়ে ‘নোংরা রাজনীতি’ না করে সরকারকে সহযোগিতা করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় এক সভায় তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। করোনাভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্বে আজকে যখন উদ্বেগ-আতঙ্ক, সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে নোংরা রাজনীতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদেরকে সহযোগিতার জন্য বলছি।
কাদের দাবি করেন, বাংলাদেশই ‘একমাত্র দেশ’ যারা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ‘সবার আগে’ প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতালি থেকে দু’জন এসেছেন, প্রস্তুতি আছে বলেই তাদের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এবং তাদের ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এমনকি তাদের থেকে আরো একজন সংক্রমিত হয়েছে তার বিষয়েও ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির ‘রাজনৈতিক ইস্যু খুঁজছে’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে তারা তাদের সেই নিকৃষ্ট রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে। আমি তাদের অনুরোধ করব, এই ধরনের মানবিক ও সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক বিষোদগার থেকে বিরত থাকবে। সব বিষয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়’।
সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা শনাক্ত হলেও মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার এতোদিন খবরটি গোপন রেখেছিল বলে সোমবার অভিযোগ করেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা নিয়ে বিএনপি ‘অপপ্রচার’ করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকারের সবচেয়ে আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার প্রমাণ এখানে মুজিববর্ষের মতো অনুষ্ঠান পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে, পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা করেছেন, মানুষের জীবন আগে তারপর অনুষ্ঠান। এটা তো বছরব্যাপী অনুষ্ঠান। এটা পরেও করা যাবে। যেহেতু এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী একটা অ্যালার্ট আছে সচেতনতামূলক, সেজন্য এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। যারা সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার প্রশ্ন তোলে, সরকারের প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে বলে তারা অপ্রপ্রচার করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্যদের নিয়ে এই যৌথসভা হয়।