করোনা নিয়ে তিন মহাকাশচারীর বার্তা

69

গোটা বিশ্ব কাঁপছে করোনা আতঙ্কে। এমন অবস্থায় করোনা থেকে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছেন তিন জন। বর্তমানে পৃথিবীর ওপরে মহাকাশ স্টেশনে সময় কাটছে তাদের। সেখান থেকেই পৃথিবীবাসীকে বার্তা দিয়েছেন তিন মহাকাশচারী। ‘আর্থস্ট্রং। দিস শ্যাল টু পাস! (শক্ত হও বিশ্ব। এই দুঃসময়ও পেরিয়ে যাবে)’ প্রাচীন ইহুদি প্রবাদ স্মরণ করিয়ে করোনাভাইরাসে ত্রস্ত বিশ্বকে শক্ত হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বছর বিয়াল্লিশের মহাকাশচারী নারী জেসিকা মাইয়ার। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২২ কিলোমিটার দূরে মহাকাশ স্টেশনে যে তিন মহাকাশচারী এই মুহূর্তে রয়েছেন, নাসার জেসিকা তাদের মধ্যে একজন। গত বছরের অক্টোবর থেকে মহাকাশে রয়েছেন তিনি। তার দুই সঙ্গী রাশিয়ার ওলেগ স্ক্রিপোচকা ও নাসার অ্যান্ড্রু মর্গ্যান। ওলেগ ছাড়া দু’জনেই টুইটারে সক্রিয়। নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেল রয়েছে মহাকাশ স্টেশনেরও।
বিশ্বের ১৬৫টি দেশ যখন করোনার হানায় বিধ্বস্ত, তখন মহাকাশের বাসিন্দা ত্রয়ীর কী প্রতিক্রিয়া, তা জানতে উৎসাহের শেষ নেই নেটিজেনদের। তারা টুইট করলেই প্রশ্ন আছড়ে পড়ছে টুইটারে।
মিশন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ এপ্রিল নতুন তিন মহাকাশচারীর মহাকাশ স্টেশনের পথে পাড়ি দেওয়ার কথা। তাদের কাজ বুঝিয়ে ১৭ এপ্রিল ফিরে আসার কথা জেসিকা, অ্যান্ড্রু, ওলেগদের। বুধবার রাতে টুইট করে এপ্রিলের পালাবদলের কথা উত্থাপন করে মহাকাশ স্টেশন। তবে এই মুহূর্তে তাদেরকে পৃথিবীতে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। জেন হান্টার নামে স্কটল্যান্ডের এক তরুণ লেখেন, ‘ওখানেই সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছেন ওরা। নাসার উচিত মিশন পিছিয়ে দেওয়া।’
ইংল্যান্ডের জেসন হাচিসনের মন্তব্য, ‘নীচে সব তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। ওরা উপরেই থাকুন।’ এমনিতে মহামারীর মধ্যে অপারেশন কীভাবে হবে, তার নির্দিষ্ট প্রোটোকল রয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলির। যাতে মহাকাশযান সয়ূজের গাঁ ঘেঁষে করোনার ছোঁয়া মহাকাশ স্টেশনে না পৌঁছায়। জেসিকা এদিন বলেছেন, ‘সংক্রমণ রুখতে মহাকাশ স্টেশনে কোনো কিছু ঢোকাতে বা বের করতে আমরা গ্লাভব্যাগ ব্যবহার করি’। সেই গ্লাভব্যাগ কেমন দেখতে, তার ছবিও দিয়েছেন জেসিকা। লেখেন, ‘পৃথিবীতে যাই ঘটুক, মহাকাশ স্টেশনের গবেষণা চলতেই থাকবে।’