করোনা ঠেকাতে পাইলটের আহব্বান

20

করোনার প্রভাবে জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থাকবে না। এতোটা লম্বা সময় মাঠে ক্রিকেট না থাকার ব্যাপারটি কষ্টকর। তবে, খেলার চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের এই দুর্যোগের সময় ক্রিকেটারদের নানাভাবে ভূমিকা রাখার আহব্বান জানান পাইলট। ক্রিকেট দুনিয়ার ক্রীড়াপ্রেমীদের বিনোদনের অন্যতম সেরা মাধ্যম। প্রায় দিনই কোন না কোন দেশে টেস্ট ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হতোই। প্রাণভরে ক্রিকেট পিয়াসিরাও দারুণ রোমাঞ্চ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার এই খেলা উপভোগ করতে নিয়মিতই। কিন্তু, পৃথিবীজুড়ে করোনার আগ্রাসনে সবই যেন এখন স্মৃতির ফ্রেমে বন্ধ। জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়াবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। টেস্ট খেলুড়ে ১২টি দেশ এই সময়ে ২১ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতো। এই সময়ে ম্যাচ হতো অন্তত ৮০টি। কিন্তু, করোনার প্রভাবে হচ্ছে না কোন কিছুই। লম্বা সময় ক্রিকেট না থাকার আক্ষেপ থাকলেও, বাস্তবতা মেনে নিলেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর সবচেয়ে বড় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো ঘরে থাকা। কিন্তু, লম্বা সময় ঘরে থাকাটাও চ্যালেঞ্জিং। এমন অবস্থায় দেশের সবাইকে ঘরে রাখতে আর মানসিক প্রেরণা জোগাতে তারকা খেলোয়াড়রা রাখতে পারে ভিন্ন ভূমিকা। তাই সাবেক এই অধিনায়কের এমন আহব্বান। পাইলট বলেন, আমি মনে করি যারা জাতীয় দলে খেলে তাদের অনেক সমর্থক রয়েছে, সুতরাং সেই সব খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে সচেতনতামূলক বার্তা দেয়ার।