করোনা টিকায় ফাইজারের ৩ মাসে আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

9

 

কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন ও বিক্রি থেকে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের আয় বেশ বেড়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তিন মাসেই অন্তত দুই দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। গত ২৯ জুলাই ফাইজার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় জার্মান ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্ট্যাটিস্টা।
ফাইজার জানায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৩ মাসে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয় ১৮ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সরাসরি মুনাফা বা লাভের পরিমাণ পাঁচ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আর এই মুনাফার ৪১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় দুই দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জিত হয়েছে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের টিকা থেকে। জার্মানির বায়োটেকলোজি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে ‘ইঘঞ১৬২ন২’ নামে এই টিকা উৎপাদন করছে ফাইজার।
২০২০ সালেও ফাইজারের মোট আয় ছিল ৪১ দশমিক নয় বিলিয়ন ডলার। আর চলতি বছরে ফাইজার আরও দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডোজ এমআরএনএ টিকা সরবরাহ করবে বলে অনুমান প্রতিষ্ঠানটির। এর ফলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ শুধু করোনা টিকা থেকেই ফাইজারের ২৬ থেকে ৩৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার অনুমান রয়েছে।আর প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য মিলিয়ে চলতি বছর ফাইজারের মোট আয় হতে পারে ৭৮ থেকে ৮০ বিলিয়ন ডলার।
অবশ্য করোনাভাইরাসের কারণে শুধু ফাইজারই না বরং মোটা অংকের লাভের মুখ দেখছে অন্যান্য বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোও। এই তালিকায় রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না এবং বায়োএনটেকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।