করোনা আক্রান্ত বাড়লে চসিকের ভোট স্থগিত

14

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে কতখানি আক্রান্ত করবে, তা বিশ্লেষণ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ (চসিক) পাঁচ আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হবে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, অ্যাফেক্ট বিবেচনায় দু’এক দিন পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের কেক কেটে নির্বাচন ভবন থেকে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।
আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরগাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে পশ্চিমবঙ্গেও নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছে, এ অবস্থায় দেশের নির্বাচন বন্ধ হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে কেএম নূরুল হুদা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা নির্বাচন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিইনি। আরও দুই-একটা দিন দেখি। কারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষের দিকে। প্রার্থীরা বলেছেন, তারা সাবধানে নির্বাচনী প্রচারণা করবেন। কিন্তু নির্বাচন যেন বন্ধ না হয়ে যায়। তাদের অনুরোধ আছে, তারা যদি জনসমাগমের বিষয়টা এড়িয়ে চলে। আমরা বলেছি, যেন বিকল্পভাবে তারা ভোটারদের কাছে ভোট চায়, জনসমাগম না করে। তাই যদি হয়, তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ আমাদের তো জীবনের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। করোনার কারণে কোথাও কোথাও সীমিত হয়েছে। সীমিত আকারেই করব।
তিনি বলেন, এই দু’টোর পর (২১ ও ২৯ মার্চের নির্বাচন) আর কোনো নির্বাচনই আমরা (করোনার প্রকোপের
মধ্য) করব না। ২১ মার্চের নির্বাচন করার চিন্তা আছে এখনও। যদি পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অবশ্যই আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা চাচ্ছি নির্বাচনটা হয়ে যাক। খবর বাংলানিউজের
সিইসি বলেন, নির্বাচন বন্ধ করার বিবেচনা করা হয়নি। এটা নিয়েও আমরা চিন্তা করব। পরিস্থিতি আরেকটু দেখি। করোনা কতখানি অ্যাফেক্ট (আক্রান্ত) করবে, সেটা আমরা বিশ্লেষণ করতে চাচ্ছি। আমি তো চলাচল করি, হাটে যাই, বাজারে যাই, নামাজে যাই, অফিসে যাই; এগুলো তো বন্ধ হয়নি। তবুও আমরা আরও একটা দুইটা দিন দেখব। তখন সবগুলো নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তখন দু’টো (২১ ও ২৯ মার্চের নির্বাচন) নির্বাচনই বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।