করোনায় মারা গেলেন এস আলম চেয়ারম্যানের বড় ভাই মোরশেদুল আলম

77

এস আলম গ্রূপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদের (এস আলম) বড় ভাই মোরশেদুল আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১ টায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে মারা যান তিনি। তিনি এস আলম গ্রূপের পরিচালকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালকও ছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মোরশেদুল আলমের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এস আলম গ্রূপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের ৫ ভাইসহ এক নারীর দেহে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর থেকেই মোরশেদুল আলম তার অন্য ৪ ভাইয়ের সাথে চট্টগ্রাম নগরের সুগন্ধার বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরশেদুল আলমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউ ওয়ার্ডে আগে থেকেই এস আলম পরিবারের আরেক সদস্য রাশেদুল আলম চিকিৎসাধীন ছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডের দশটি শয্যার সবক’টিই পূর্ণ থাকায় সেখানে গুরুতর অসুস্থ মোরশেদুল আলমকে ভর্তি করা যাচ্ছিল না। তবে অপর ভাই রাশেদুল আলমের শারীরিক অবস্থার তুলনামূলক উন্নতি হওয়ায় তাকে আইসিইউ ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে সেখানে প্রায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের বড় ভাই মোরশেদুল আলমকে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১৭ মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের ৬ সদস্য করোনা পজিটিভ রোগী হিসেবে শনাক্ত হন। তারা হলেন মৃত্যুবরণ করা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক ৬২ বছর বয়সী মোরশেদুল আলম, এস আলম গ্রূপের পরিচালক ৬০ বছর বয়সী রাশেদুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ লাবু, ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রূপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রূপের পরিচালক ৪৫ বছর বয়সী ওসমান গণি। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওই পরিবারের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীও।
তারা চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কে বসবাস করেন। রবিবার রাতেই ওই ভবনটি লকডাউন করে দেওয়া হয়। গত ১৬ মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।