করোনায় পাল্টে যাবে সব হিসাব-নিকাশ : নেতৃত্বে কী চীন

150

মো : দিদারুল আলম

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিউইয়র্কে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলা যেমন পৃথিবীকে পাল্টে দিয়েছিল, রাজনীতি-অর্থনীতিতে যোগ করেছিল নতুন অধ্যায়, তেমনি করোনাভাইরাস তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি পাল্টে দেবে এই পৃথিবীকে।
করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে বদলে দিতে শুরু করেছে মানুষের নিয়মিত ও দৈনন্দিন অভ্যাস। করোনায় বদলে দিয়েছে প্রকৃতির ওপর মানুষের নিয়মিত অনাচারের অভ্যাস। বদলাতে শুরু করেছে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতির গতি প্রকৃতি। করোনার সংক্রমণ ও এর বিশ্বায়নের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে সবচেয়ে বড় সংকটে পড়তে যাচ্ছে এককেন্দ্রিক বিশ্বকাঠামোর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পুরো চীনেই এখন অর্থনীতির চাকা সচল। তাদের অর্থনীতিবিদরা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে আগামী মাস থেকে তাদের অর্থনীতির গতিপথ নতুন দিকে যাবে।
চীনে করোনার সংক্রমণের শুরু হয় গত বছরের শেষ নাগাদ। দেশটির একজন চিকিৎসক বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। চিকিৎসককে আটক করার সঙ্গে সঙ্গে এ সম্পর্কিত তথ্য গোপনের পথ নেয় চীন প্রশাসন। সেই চিকিৎসকের মৃত্যু এবং করোনার বৈশ্বিক মহামারির রূপ নেওয়ার ঘটনা এবং পরবর্তী অবস্থা এখন পুরো বিশ্ব জানে। এখন চীনই আবার চলতি মাসে করোনা নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে দৃঢ়তার সাথে। পাশাপাশি চীন বিশ্বের দেশে দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আপদকালীন সময়ে এর আগে উন্নত দেশগুলো মার্কিন নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে থাকতো। এবার সেটিও দেখা যাচ্ছে না। ইউরোপের দেশগুলো এখন করোনা মোকাবেলা করতে সহায়তা নিচ্ছে চীনের কাছে। করোনা শনাক্তের কিট থেকে শুরু করে এর সংক্রমণ রোধে কার্যকর উপায়, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহসহ এই দুর্যোগকালীন সবাই চীনের দিকে তাকিয়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের প্রেসিডেন্ট দেওয়া দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব বহন করছে।
বৈশ্বিক নেতৃত্বের বদলের ধরনটি হচ্ছে, শুরুতে অতি ধীরগতিতে এর বদল শুরু হয়। পরে হঠাৎ করেই দেখা যায় সব ওলটপালট হয়ে যায়। এতদিন বিশ্বের নেতৃত্ব যে গোষ্ঠীর হাতে ছিল, এখন আর তা নেই। নতুন কোনো নেতার কাছ থেকে আসছে আদেশ, নিষেধ বা দিকনির্দেশনা। এ ধরনের ঘটনা সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৫৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে। বৈশ্বিক নেতৃত্ব ব্রিটিশ সূর্যের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্ত যাওয়ার শুরু তারও আগে থেকে। তবে এর গতি ছিল ধীর। ব্রিটিশদের কাছ থেকে চলে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল তারা দয়া করে বিভিন্ন উপনিবেশ যেন ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি আদতে এতোটা সরল ছিল না। যা স্পষ্ট হয় ১৯৫৬ সালে সুয়েজে ব্রিটিশদের গা- জোয়ারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের পতন ঘনিয়ে আনার মধ্য দিয়ে।
ওয়াশিংটন যখন ব্যর্থতায় পর্যুদস্তু, ঠিক তখনই জোর কদমে এগিয়ে এসেছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতার ফলে সৃষ্ট শূন্যতা বুঝতেই দিচ্ছে না চীন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা থেকে ওয়াশিংটনকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে নানা পরামর্শ ও সমালোচনামূলক খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে স্বপ্রণোদিত হয়েই পথ দেখাচ্ছে চীন। বৈশ্বিক মহামারি রুখতে নিজেদের মানচিত্রের গÐি পেরিয়ে সবার হয়ে কথা বলছে ও কাজ করছে দেশটি। চীন যদি শেষ পর্যন্ত এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে, তবে তা বৈশ্বিক কাঠামোটিই উল্টে দিতে পারে। নেতৃত্বের আসনে নতুন আরোহী হতে পারে চীনই।
করোনার মহামারি চীনসহ বিভিন্ন কর্তৃত্ববাদী দেশের শাসকদের আরেকটি সুযোগ এনে দিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি বিদেশি সাংবাদিক তাড়ানোর মতো প্রচুর ঘটনা ঘটছে। চীনেই যেমন বিপ্লব-পরবর্তী সময়ের পর এবারই প্রথম সবচেয়ে বেশি বিদেশি সাংবাদিককে দেশটি থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছে। কারণ চীনা মডেলের সাফল্যের অন্যতম কারণ ‘কর্তৃত্ববাদ’।
ব্যবসা-বাণিজ্যে চীনা মডেলকে ‘কর্তৃত্ববাদ’-এর কথা তুলে একটু সমালোচনাও করা হতো। কিন্তু এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে চীনের সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসেবেও বলা হচ্ছে। এই ‘কর্তৃত্ববাদ’ শব্দটি এখন সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে এক বড় তামাশা। মানুষ এই মুহূর্তে বাঁচতে চায়। এটাকে গুরুত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে চীন নিজেকে সামনে নিয়ে আসছে। তবে এই লড়াইয়ের শেষ খেলাটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই। এই মহামারি রোধে ওষুধ ও টিকার খোঁজ দিতে পারলেই অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে অনেকটা এগিয়েছেও। জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশও এগিয়ে আছে। তবে সাফল্য যুক্তরাষ্ট্রের পকেটেই ঢোকার সম্ভাবনা বেশি। কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি এবং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে যে নেতৃত্ব ধরে রাখতে পারবে, বৈশ্বিক নেতৃত্বও তার দিকেই ঝুঁকবে নিঃসন্দেহে।
তবে চূড়ান্ত সমীকরণ যা-ই হোক, চীনকে অস্বীকার করাটা আর বোধহয় সম্ভব হবে না। বরং তার সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমেই পরবর্তী বিশ্ব কাঠামোটি নির্মিত হবে বলা যায়। তবে এ কথা সত্যি যে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় দেশগুলোর নেতারা করোনার এই সংকট মোকাবিলায় বিশ্বকে মোটেই নেতৃত্ব দিতে পারেননি। তাদের তরফ থেকে এমন কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। যা বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করতে পারে। এটা বৈশ্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের পালাবদলের তাগিদ দিচ্ছে ভবিষ্যৎকে। অতীত মহামারির ইতিহাসেও এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে নেতৃত্বের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়ে নেতৃত্ব হারিয়েছে। অতীতেরই শিক্ষাও তাই।
যুক্তরাষ্ট্র সময়মতো নিজের অনেক নাগরিকের ‘ভাইরাস টেস্ট’ করাতে পারেনি। পাশাপাশি নিজেও বৈশ্বিক ‘গভর্ন্যান্স-টেস্টে’ এত দিনের অবস্থান হারিয়েছে। দেশটির ডাকে ইউরোপ যুগের পর যুগ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অপ্রয়াজনীয় যুদ্ধে শরিক হয়েছে। অথচ করোনা হানা দেওয়া মাত্র ওয়াশিংটন কোনো ধরনের মতবিনিময় ছাড়াই ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাকি বিশ্বের জন্যও কোনো দায়বোধ করতে দেখা যায়নি দেশটিকে। এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে ‘স্প্যানিশ-ফ্লু’র কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই সময়ে অস্ট্রিয়া আর জার্মানি শক্তিমত্তা হারিয়ে নতুন নেতৃত্বের আসনে বসে ব্রিটেন ও ফ্রান্স।
করোনা বিশ্বায়ন ধারণাকে নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। করোনা দেখাতে সক্ষম হয়েছে যে, বর্তমান বিশ্বায়নের ধারণা টেকসই নয়। বিশ্বায়নের কেন্দ্রে ছিল বাণিজ্যিক স্বার্থ। এটি রাজনৈতিক যৌথতা নয় বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। করোনা বিশ্বায়নের অন্ধকার অংশে আলো ফেলেছে। করোনায় আক্রান্ত দেশগুলো যেভাবে নিজ নিজ সীমান্ত নিয়ে সচেতন হয়েছে তাতে স্পষ্ট। বিশ্বায়নের প্রচারণা আর এগোবে না। খোদ ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ও এককভাবে এবার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। উল্টো ইউনিয়নভুক্তরা একে অপরের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করেছে। পুরো বিশ্বে স্বাস্থ্য সচেতনতার একটা নতুন তরঙ্গ তুলেছে করোনা। বৃষ্টির পরই রংধনু ওঠে এবং রংধনুতে এক-দুটি নয়, থাকে অনেক রং। কিন্তু এই মৃত্যুবৃষ্টি কবে থামবে, আমরা এখনো তা জানি না। আবার কবে মানুষ উদ্বেগহীনভাবে আনন্দে অপরকে জড়িয়ে ধরবে। কবে মাস্ক খুলে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেবে সেটিই দেখার বিষয়। তবে নিশ্চিত যে মানুষ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে নতুনভাবে।
প্রতিটি বড় বিপর্যয়ের পর পৃথিবীর মানুষ আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীকে করেছে আরও সুন্দর ও বাস উপযোগী। এবারেও তাই হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। করোনাপরবর্তী বিশ্ব গড়ে উঠবে মানবিক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাবাপন্ন বাসযোগ্য এক নতুন পৃথিবী এটিই প্রত্যাশা।
ইউরোপীয় সা¤্রাজ্যবাদের কুৎসিত রাক্ষসটি বোতলবন্দী না হলে একসময় আফ্রিকার দশাও হতো আমেরিকারই মতো। সেখানে স্থানীয়দের পরিকল্পিতভাবে মেরে মেরে নিশ্চিহ্ন করে ইউরোপীয়রা হয়তো একসময় আমেরিকা-২ নামের আরেকটি দেশ সৃষ্টি করত। তা হয়নি। আফ্রিকা মহাদেশ বেঁচে গেছে। যদিও মাঝখানে দাসপ্রথা ও নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিল সেখানকার কোটি কোটি মানুষ। ইতিহাসের সেই পটপরিবর্তনের জন্য রক্তাক্ত যে পথ আমাদের পাড়ি দিতে হয়েছিল, তার নাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। পরিহাসের মতো শোনালেও সমকালীন বিশ্বের ইতিহাস তাই এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাছে ঋণী।
ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক সা¤্রাজ্যবাদের পাল্টাপাল্টি লোভ, দম্ভ ও চাপা উত্তেজনা থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধে। অথচ বিশ্ব তখনো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও স্প্যানিশ ফ্লুয়ের ক্লান্তি পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠেনি। আমেরিকায়ও চলছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মহামন্দা। কিন্তু সা¤্রাজ্যবাদী যুদ্ধ কি আর তাতে থেমে থাকে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হয় আমেরিকা বনাম সোভিয়েত ইউনিয়ন দীর্ঘ কয়েক দশকের স্নায়ুযুদ্ধ। সোভিয়েত ইউনিয়নের বৈশ্বিক প্রভাব ও কর্তৃত্ব ঠেকাতে আমেরিকা খেলে এক দ্বিমুখী খেলা। একদিকে ক্ষমতার আজ্ঞাবহ পুতুল শাসক বসিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও শাহের ইরানকে নিজের পাশে রাখে। তাতে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এভাবে তেল-গ্যাসের দাম কম রেখে সে পরোক্ষভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নকে উপর্যুপরি পর্যুদস্ত ও দুর্বল করতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে পৃথিবীর নানা সীমান্তে চালিয়ে যায় ছদ্ম যুদ্ধ বাধানোর এক ভ্রাতৃঘাতী খেলা।
৯০ দশকের শেষে এসে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলো। তারপর নতুন সহস্রাব্দ দেখল বিশ্বের নব্য পরাশক্তি চীনের উত্থান, যে এসে খেলার নিয়মই পাল্টে দিল। কিন্তু এখন ২০২০ সাল দেখছে করোনাভাইরাস নামে এক নতুন বৈশ্বিক ঘটনা! হয়তো নভেল করোনাভাইরাসই সেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাম, যার আশঙ্কা আমরা করছিলাম। পুরো বিশ্ব প্রথমবারের মতো এক সঙ্গে থমকে গেছে। পাল্টে যাচ্ছে জীবনধারা। পাল্টে যাচ্ছে চিন্তাভাবনার ধারা এবং ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি।
মানুষের মূল্যবোধে পরিবর্তন আসবে। পরিবর্তন আসবে রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতেও। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের, মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আমূল বদলে যেতে পারে। জাতিগুলো আরো কাছাকাছি আসবে। প্রযুক্তিতে বুঁদ হয়ে থাকা মানুষ নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবতে শুরু করেছিল, সেই ভাবনাও ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিশ্ব অর্থনীতি যে বড় ধাক্কার মুখোমুখি সেটা তো স্পষ্টই। যদিও প্রকৃত অবস্থাটা আমরা কেউ জানি না। করোনার কারণে প্রথিবী এতটাই ব্যতিব্যস্ত যে, সে হিসেব বের করার ফুসরত নেই রাষ্ট্রগুলোর। শুধু আর্থিক বিষয় নয়, আরো বহু অনির্ণেয় ক্ষতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এই পৃথিবী।
মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মার্ক লরেন্স বলেন, করোনা পরবর্তী বিশ্বে আমরা নতুন মাত্রার স্বদেশপ্রেম দেখতে পাব। এতদিন বন্দুক হাতের যোদ্ধাদেরকেই সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক ভাবা হতো। তারা ঠেকাতো রাষ্ট্রের শত্রুকে। কিন্তু এবার শুধু রাষ্ট্র নয়, দুনিয়াকে বাঁচাতে যারা সামনে থেকে লড়ছে তারা বন্দুকধারী নন। তারা হলেন চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, বিজ্ঞানীসহ আরো অনেকে। অনেক নিম্ন আয়ের মানুষও জীবনবাজি রেখে এই যুদ্ধে লড়ছেন। সুতরাং এরাই এখন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।
সবমিলিয়ে অন্য এক পৃথিবী দেখার অপেক্ষায় আমরা।

লেখক: প্রাবন্ধিক