করোনার সাথে ডেঙ্গুর প্রকোপ ৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি

10

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন ক্রমবর্ধমান হারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী নগরীর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন ৩ জনসহ চট্টগ্রামের ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, মহিলা ১১ জন এবং ১৬ জন শিশু। গত জুন মাস থেকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে। এর মধ্যে গত এক মাসে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৫ জন। এর মধ্যে চলতি মাসে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় ২৩ জন। মোট রোগীর ৫০ শতাংশের বেশি শনাক্ত হয়েছে চলতি মাসে। জুনের মাঝামাঝিতে টানা বর্ষণে ডেঙ্গুর প্রকোপের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল মশাবাহিত রোগ নিয়ে কাজ করা কীটতত্ত¡বিদ ও চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কা বাস্তব রূপে দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা ও ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এই মৌসুমটি ডেঙ্গু প্রকোপের। তারমধ্যে করোনাও চলে যায়নি। আবার দু’টি রোগের লক্ষণ অনেকটাই কাছাকাছি। তাই জ্বর হলে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষা করাটাও খুবই জরুরি। করোনার এই মুহূর্তে সচেতন না হলে ডেঙ্গু চোখ রাঙাতেই পারে। করোনার এ সময় ডেঙ্গুও কিন্তু নিরব ঘাতক হয়ে ওঠতে পারে। তাই এ বিষয়ে এখন থেকেই বেশি সচেতন হতে হবে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি আছে। এ লক্ষ্যে নগর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। কারও যদি আগে ডেঙ্গু সংক্রমণ হয় তার দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই এ নিয়ে অবহেলা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। করোনার এই সময়ে জ্বর হলেই অবহেলা না করে চিকিৎসক কিংবা নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে যেতে হবে। একই সঙ্গে বাসা বাড়িতে কিংবা ছাদে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কেননা জমে থাকা এসব পানিতেই মশা তাদের বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এখন থেকে সবাইকে এ নিয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।
অন্যদিকে, জ্বরে আক্রান্ত বা কোভিড পরীক্ষা করাতে কেউ আসলে অথবা সন্দেহ হলে যেন ডেঙ্গু পরীক্ষাও করানো হয়, সে বিষয়ে সকল চিকিৎসা কেন্দ্রে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়।