করোনার মধ্যেই মৌসুমি ফ্লু যুক্তরাষ্ট্রে ‘টুইনডেমিক’ আতঙ্ক

15

করোনাভাইরাস মহামারির সবচেয়ে বেশি ও ভয়ংকর প্রভাব পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মাঝে কিছুটা কমলেও আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন অবস্থায় মৌসুমী ফ্লুও দেশটিতে মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রে ‘টুইনডেমিক’ দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচতে সবাইকে ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিনে দিলেও এটি করোনা ঠেকাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই সময়টাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লু সিজনও বলা হয়। অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে দেখা দেয় জ্বর-ঠান্ডা-কাশির মতো প্রকোপ। এদিকে এমনিতেই কোভিড-১৯ এর কারণে নাজেহাল অবস্থা দেশটির। করোনায় এ পর্যন্ত দুই লাখ চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন সেখানে। এর সঙ্গে আবার ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুয়ের প্রকোপের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এই পরিস্থিতিকে তারা বলছেন, ‘টুইনডেমিক সিচুয়েশন’। চিকিৎসকরা বলছেন, সবচেয়ে আতঙ্কের হলো কোভিড-১৯ এবং ফ্লুয়ের উপসর্গ প্রায় একই রকম। রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখে কী হয়েছে তা বলা বেশ কঠিন।
স¤প্রতি দেশটির নিউইয়র্কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ক্লাসে ফেরার পর করোনা সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যায়। এরপরই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু প্রায় দশ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং তিন কোটির বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। এর মধ্যে মৌসুমি ফ্লু করোনার চিকিৎসার অগ্রগতিকে ধ্বংস করতে পারে। এর জন্য ব্যাপক ভ্যাকসিন প্রয়োগসহ এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। করোনা মহামারির আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক মানুষ মৌসুমি ফ্লুর ভ্যাকসিন নিতেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতেন। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এই তথ্য জানিয়েছে।