করোনাযুদ্ধে আছেন ১৪৬ এসএসিএমও

41

করোনা সংকটকালীন সময়ে সামনে থেকেই প্রতিরোধযুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর মধ্যে জেলা হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা (এসএসিএমও)। জীবনের মায়া, পরিবার-পরিজন ছেড়েই দিনরাত করোনাযুদ্ধে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন তাঁরা। অনেক নামিদামি চিকিৎসকরা যখন প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রেখেছেন ঠিক তখনই সাধারণ রোগীদের কাছে ত্রাতার ভূমিকায় নেমেছেন এসএসিএমওরা।
জানা যায়, চট্টগ্রামে বর্তমানে ৭২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ১১৮টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র আছে। এসব কেন্দ্রে কর্মরত আছেন ১৪৬ এসএসিএমও। ৭৩টি শূন্য পদের বিপরীতে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত রোগী দেখছেন এসএসিএমও। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মতে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কর্মস্থলেই সময় ব্যয় করছেন তারা। জটিল রোগের চিকিৎসা না করলেও বর্তমান সময়ে আতঙ্ক হয়ে ওঠা সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যথার মতো অসুখের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে প্রতিটি সেন্টারে। প্রত্যেক সেন্টারে গড়ে প্রতিদিন ১৫-৪০জন রোগী দেখা হচ্ছে। এসব রোগীরা নিয়মিত সেবা পেয়ে সুস্থ হচ্ছেন। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পিপিইসহ যাবতীয় সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার নন্দী পূর্বদেশকে বলেন, ‘প্রথমদিকে আমরা একটু আতঙ্কিত থাকলেও পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করায় সে ভয় কিছুটা কেটেছে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে সকল এসএসিএমওরা চট্টগ্রামের ১৯০টি সেন্টারে কর্মব্যস্ততায় দিন পার করছেন। করোনাযুদ্ধে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো এসএসসিএমওরাও সামনের সারির যোদ্ধা’। সারাদেশে ইতোমধ্যে ৪৩জন এসএসসিএমও করোনায় আক্রান্ত হলেও চট্টগ্রামে এখনো কেউ আক্রান্ত হননি বলেও জানান তিনি।