করোনাকালে লুণ্ঠনে লিপ্ত অসৎ সিন্ডিকেট

16

করোনাকালে অসৎ প্রকৃতির স্বার্থপর গোষ্ঠী ও সিন্ডিকেট লুণ্ঠন প্রবৃত্তিতে লিপ্ত উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, এরা সরকার ও জনগণের শত্রূ। করোনা অদৃশ্য শত্রূ। তাই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
যারা দৃশ্যমান শত্রূ তাদের ঘায়েল করার ক্ষমতা সরকার ও জনগণের আছে। তাই এ শত্রূকে নির্মূল করতে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুন) নগরের অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ নিমতলা থেকে পোর্ট কানেকটিং সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ আকস্মিক পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়েই বন্দর থেকে প্রতিদিন পণ্য বা কনটেইনারবাহী গাড়ি ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ এবং হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। ছয় লেন বিশিষ্ট পোর্ট কানেকটিং রোড উন্নয়ন কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা ফিরে আসবে।
উন্নয়ন কাজ চলাকালীন ভোগান্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সড়কের উন্নয়নকাজ চলাকালীন সাময়িক দুর্ভোগ, হয়রানি হচ্ছে। এটা উন্নয়নের প্রসববেদনা। এ বেদনা সইতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ এলাকা হবে নগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় গড়ে উঠবে সংশ্লিষ্ট শিল্পাঞ্চল। এ সড়কে দুই দফায় ৫০ কোটি করে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং থেকে বড়পুল, বড়পুল থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত এবং আগ্রাবাদ বাদামতলী থেকে বড়পুল নয়াবাজার পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নকাজ হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় রাস্তার দুই পাশে আরসিসি ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ, রাস্তার মাঝখানে ৮ ফুট বিশিষ্ট মিডিয়ান নির্মাণ, এলইডি আলোকায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ছয় লেনের সড়কটির দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার ও প্রস্থ ১২০ ফুট। অপরদিকে একই প্রকল্পে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ২ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নয়ন করা হবে।
মেয়র সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি সরকারের সেবামূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চলমান সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারকাজে অহেতুক দীর্ঘসূত্রতা দেখা যাচ্ছে এবং কাজের মানও রক্ষা হচ্ছে না। এ ধরনের জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কার্যকলাপে লিপ্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মেয়র আগামী নভেম্বরের মধ্যে এ সড়কের সব উন্নয়নকাজ শেষ করে যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনকালে মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব রায়হান ইউসুফ, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, বেলাল আহমদ, এসএম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।