কবিতার ফেরিঅলা

22

 

আমি কবিতার ফেরিঅলা
শব্দের ভাঁজে ভাঁজে
শিল্পীত কারুকাজে
রঙে রঙে আঁকি-চারুকলা।

খুঁজে ফিরি ফাগুনের রঙলাগা বন
বাতাসে কেঁপে ওঠে পাতা শনশন
হাওরের জলে নাচে কালো পানকৌড়ি
জলাধারে ফুটে আছে অপরূপ মৌরি।

পৌষালি মেলা মিলে আমাদের গাঁয়
সাধু আর সন্ন্যাসি মুর্শিদি গায়
শীতের পায়েশ রাঁধে খেজুরের রসে
হেশালেই সবে খাই রোদেলায় বসে।

আমাদের ছোটো গাঁও আর ছোটো নদী
ঢেউ ভেঙে নাও চলে যায় নিরবধি
পাড় ঘেঁষে ঘর বাড়ি ভারী মনোহর
পাখিদের গানে গানে কাটাই প্রহর।

শিল্পীত মন নিয়ে ঘুরি নন্দনে
ললিতমোহন ভাব আঁকি ক্ষণে ক্ষণে
কবিতার ঝোলা কাঁধে আমি ফেরিঅলা
মাঠ ঘাট ঘুরে ফিরে বসি বটতলা।

নাড়ার আগুনে পুড়ি মটরের দানা
কালি মেখে হয়ে যাই ভূতের ছানা
দানা খেয়ে কানা হলে চোখে গেলে ছাই
তার দায় আমি তো রে নেবো নাকো ভাই।