কনডেম সেলে প্রদীপ লিয়াকত কেমন আছেন

45

কক্সবাজার প্রতিনিধি

দেশব্যাপী আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতকে পৃথক কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। কক্সবাজার কারাগারেরর ৩ নম্বর বিল্ডিংয়ের ১ নম্বর ও ৩ নম্বর সেলে রাখা হয়েছে তাদের। তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কারো সাথে কথা বলছেন না, নির্বিকার ও চুপচাপ রয়েছেন। সাধারণ বন্দিদের মতোই তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং তারা সেই খাবার খাচ্ছেন।
গত সোমবার রাতে কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার নেছার আলম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, প্রদীপ ও লিয়াকতকে পৃথক কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে স্থানীয় তিনজনকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে এবং তিন পুলিশ সদস্যকে পৃথকভাবে রাখা হয়েছে।
এদিকে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় খালাসপ্রাপ্ত সাত পুলিশ সদস্য কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছেন।
গত সোমবার মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদন্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন এবং সাতজনকে খালাস প্রদান করেন।
খালাসপ্রাপ্ত সাতজনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমতাজ আহমেদ জানান, আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। এরপর সন্ধ্যায় নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার নেছার আলম বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পান এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। এরপর নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলার রায় হয়েছে সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।